দেশে করোনার XE ভ্যারিয়েন্টের হদিশ মেলা নিয়ে বিভ্রান্তি চরমে। বুধবার বৃহন্মুম্বই পুরসভা জানিয়েছিল, মুম্বইয়ের মহিলা করোনার এই অতি সংক্রামক স্ট্রেইনে আক্রান্ত হয়েছেন। সেই সঙ্গে হদিশ মিলেছে করোনার কাপ্পা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত এক রোগীরও। কিন্তু XE ভ্যারিয়েন্টের হদিশ মেলার খবরটি আর নিশ্চিত করেনি কেন্দ্র সরকার। কেন্দ্র বলছে, এটি আদৌ XE ভ্যারিয়েন্টের কিনা, তা জানতে আরও গবেষণা প্রয়োজন। এই বিভ্রান্তির মধ্যেই অবশ্য এদিন ফের দেশের হাজারের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের (Ministry of Health and Family Welfare) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা (Coronavirus) আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৩৩ জন। যা কমবেশি আগের দিনের মতোই। দৈনিক পজিটিভিটি রেট গতকালের তুলনায় সামান্য কমে হয়েছে ০.২১ শতাংশ। বর্তমানে ভারতে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা কমে ১১ হাজার ৬৩৯। গোটা দেশে অ্যাকটিভ কেসের হার মাত্র ০.০৩ শতাংশ। তবে করোনা এখনও কেড়ে চলেছে সাধারণ মানুষের প্রাণ। রিপোর্ট বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৪৩ জন। যা গতকাল ছিল ৭১। অর্থাৎ এখনও যে ভাইরাসের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকা প্রয়োজন, এই রিপোর্ট সে ইঙ্গিতই দিচ্ছে। দেশে কোভিডে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৫ লক্ষ ২১ হাজার ৫৩০ জনে।
এসবের মধ্যে স্বস্তিজনক দেশের সুস্থতার হার। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত দেশে ৪ কোটি ২৪ লক্ষ ৯৮ হাজার ৭৮৯ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। যার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ১ হাজার ২২২ জন। সুস্থতার হার বেড়ে ৯৮.৭৬ শতাংশ। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য জানাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত দেশে প্রায় ১৮৫ কোটি ২০ লক্ষের বেশি ডোজ করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে গতকাল ভ্যাকসিন পেয়েছেন সাড়ে ১৫ লক্ষের বেশি।
বিধিনিষেধ উঠে গেলেও সংক্রমণ ফের মাথাচাড়া দেওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে। বিশেষ করে বিশ্বজুড়ে যেভাবে নতুন ভ্যারিয়েন্ট দাপট দেখাচ্ছে, তাতে সতর্ক থাকা জরুরি। তাই টিকাকরণের পাশাপাশি করোনা রোগী চিহ্নিত করতে জোর দেওয়া হচ্ছে টেস্টিংয়েও। গতকাল যেমন দেশে ৪ লক্ষের ৮২ হাজার ৩৯ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।