বিদেশে থাকেন বাড়ির মালিক। বাড়ি ছিল কেয়ারটেকার এবং তার স্ত্রীর হেফাজতে। আর বাড়ির মালিকের অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়েই ফাঁকা বাড়িতে অসামাজিক কাজকর্মের রীতিমত চক্র বসিয়ে দিয়েছিল ওই বাড়ির কেয়ারটেকার এবং তার স্ত্রী। আনাগোনা হত বহু যুবক যুবতীর। চোখে পড়ার মতন সন্দেহভাজন ছিল তাদের আবভাব। বিষয়টি নজর এড়ায়নি পাড়া প্রতিবেশীদের। খবর পৌঁছয় বিধাননগর ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের কানেও। খোঁজ খবর নিয়ে ওই ফাঁকা বাড়িতে চলা কর্মকাণ্ড নিয়ে তারও সন্দেহ হয়। অবশেষে আচমকা হানা দিয়ে জানা গেল সত্যিটা। দীর্ঘদিন ধরে ওই বাড়িতে চলছিল মধুচক্রের আসর। অপরাধ করার সময় হাতেনাতে ধরা পড়লো ৪ যুবক ও ৬ জন মহিলা। তাদের হেফাজতে নিয়েছে বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিস।
সূত্রের খবর, সম্প্রতি বেশ কয়েকদিন ধরেই ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রঞ্জন পোদ্দারের কাছে কানাঘুষো খবর আসছিল যে এইচ বি ১২০ নম্বর বাড়িতে দিন নেই রাত নেই যাতায়াত চলছে কয়েকজন সন্দেহভাজন যুবক ও যুবতীর। ফাঁকা বাড়িতে অসামাজিক কাজকর্ম চলছে বলেও অভিযোগ ওঠে। এরপরে এই বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়া শুরু করেন খোদ কাউন্সিলর।
এরপর আজ ৪ঠা এপ্রিল দুপুরে আবারও কয়েকজন যুবক ও যুবতী পৌঁছয় ওই বাড়িতে। সেই খবর কাউন্সিলরের কানে পৌঁছন মাত্র বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিসকে খবর দিয়ে তাদের সাথে অতর্কিতে কাউন্সিলর পৌঁছন ওই বাড়িতে। বাড়ির মধ্যে ৩ জন যুবক ও ৫ জন যুবতীকে দেখা যায়। কি কারণে তাদের যাতায়াত পুলিশ জেরা করলে তারা জানায় চিকিৎসার উদ্দেশ্যে তারা এসেছে। কিন্তু সেই সম্পর্কিত কোন কাগজ বা নথি তারা দেখাতে পারেনি। এর পরে পুলিশ তাদের আটক করে।
পুলিশি জেরার মুখে জানা যায় বাড়ির মালিক বিদেশে থাকায় ওই বাড়ির কেয়ারটেকার ও তাঁর স্ত্রী ফাঁকা বাড়ি থেকে বাড়তি টাকা আয় করতে মধুচক্রের আসর বসিয়েছিল। এই ঘটনায় অভিযুক্তদের আটক করেছে বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিস। পুলিশ অভিযুক্ত কেয়ারটেকার ও তার স্ত্রীকেও গ্রেফতার করেছে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মোট ৪ জন যুবক ও ৬ জন যুবতীকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। এই অসামাজিক মধুচক্রের নেপথ্যে আরো কারো হাত আছে কিনা, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানার চেষ্টা করছে পুলিস।