মানুষের কাছে অসম্ভব কিছুই নয়। মানুষ যদি মন থেকে চায় সব কিছু করতে পারে। যদিও এই অসম্ভবকে সম্ভব করার লড়াইয়ে বিজ্ঞান প্রধান অস্ত্র। আবার বিজ্ঞান কে সঠিক মনোভাব নিয়ে ব্যবহার করলে বিজ্ঞান সব কিছু সম্ভব করতে পারে। এই মনোভাব সভ্যতার অগ্রগতির কাজে লাগে। যদি সভ্যতা নাই এগোবে তবে নিজের মেয়ের সন্তানের মা নিজেই কি করে হলেন ?
বিজ্ঞান আর সভ্যতার অগ্রগতি ছাড়া সম্ভবই না। আমেরিকার এক বছর পঞ্চাশর বাসিন্দা চ্যালিস স্মিথ এই অসম্ভব ব্যাপার কে সম্ভব করেছেন। নিজের মেয়েকে সন্তানের সুখ দিতে এগিয়ে এলেন মা নিজেই। কেটলিন প্রথম সন্তান গর্ভে আসার পর আরও একটি সন্তানের মা হবেন তিনি এমনটাই ভেবে রেখেছিলেন। কিন্তু মুশকিল হয় কেটলিন যখন এক রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তাঁর মেজ মেয়ে কেইটলিন মুনোজ কোনও দিনই আর মা হতে পারবেন না জটিল রোগ ধরা পড়ায়। যদিও সে সন্তানের আশা করেছেন।
চ্যালিস সব দ্বিধা দ্বন্দ্ব ছেড়ে ডাক্তারের কাছে পরামর্শ নিতে গেলেন। ডাক্তারের পরামর্শে যত পরীক্ষা আছে প্রায় সব করলে। সব কিছুর পর ডাক্তার জানালেন চ্যালিস মা হতে পারবেন। আর তারপর কোনোরকম সময় নস্ট না করে, সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলেন তিনি মেয়ের সন্তানের ‘সারোগেট মাদার’ হওয়ার। তারপর চ্যালিস নিজের জামাইয়ের শুক্রাণু নিতে চাইলেন। এখন সাত মাসের গর্ভবতী তিনি। এবার নাতি বা নাতনির জন্ম দেবেন তিনি নিজের গর্ভ থেকেই। প্রসঙ্গত নিজে আট সন্তানের জননী চ্যালিস।
এত সন্তানের জন্মদিন দিয়েছেন তিনি নিজেই আর এদিকে তার মেয়েরই সন্তান হবে না? এই কথা ভাবিয়ে তোলে চ্যালিসকে,এ কথায় বিচলিত হয়ে পড়েন তিনি। সেই থেকেই এই সাহসী সিদ্ধান্ত নেন ৫০-এর চ্যালিস।