গত বৃহস্পতিবার, ৩১ শে মার্চ ডাবটোরি পুলিশ পোস্টে পৌঁছান উত্তরপ্রদেশের বারেলির বিসরতগঞ্জ থানা এলাকার বাসিন্দা এক মহিলা। তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন, কুসংস্কার বশত কয়েক মাস আগে তিনি তার মেয়েকে নিয়ে এক তান্ত্রিকের কাছে গিয়েছিলেন। তার মেয়ের শরীরটা তার আগে কয়েকদিন ভাল যাচ্ছিল না। অনেকে তাকে বলেছিল মেয়ের উপর ভূতের ছায়া পড়েছে। তাই কুসংস্কার জনিত কারণে তিনি এক তান্ত্রিক এর কাছে যান। বিশৌলি এলাকার এক তান্ত্রিক তাকে সুস্থ করে দেবে বলে দাবি করেন। এরপর সে তার বাড়িতে যায়। মেয়ের ভেতর থেকে দুষ্ট আত্মা বাড় করে দেওয়ার অজুহাতে তিনি পূজা পাঠ করেন। এই নাটক চলে বেশ কয়েকদিন। এরপর মহাশিবরাত্রিতে পুজো দেওয়ার অজুহাতে তান্ত্রিক মেয়েটিকে বাড়িতে ডেকে নেন। এরপর মেয়েটি আর বাড়ি ফেরে নি।
বৃহস্পতিবার মেয়েটির মা হঠাৎ তান্ত্রিকের বাড়িতে পৌঁছলে মেয়েকে সেখানে দেখে অবাক হয়ে যান। তার মেয়ের সিঁথিতে ছিল সিঁদুর এবং পায়ের আঙুলে বিছা (যা সাধারণত বিবাহিত মহিলারা পরে)। জিজ্ঞাসাবাদে মেয়ে জানায়, সে ওই তান্ত্রিককে বিয়ে করেছে। সে তার সাথে থাকতে চায়। এ বিষয়ে মেয়েটির মা থানায় অভিযোগ করেছেন। তিনি তাঁর অভিযোগে জানিয়েছে ওই তান্ত্রিক আগেও দুবার বিয়ে করেছেন। মেয়েটিকে নিয়ে তৃতীয়বার বিয়ে করেন তিনি। এসপি কান্ট্রিসাইড ডক্টর সিদ্ধার্থ ভার্মা জানান, এ বিষয়ে অভিযোগ পাওয়া গেছে, তদন্ত করা হচ্ছে।
অপরদিকে মধ্যপ্রদেশের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত দেওয়ার এক কাহিনী সামনে আসছে। এখানে এক হিন্দু নারীকে তার মুসলিম স্বামী তিন তালাক দিয়ে দেয় তারপর তাকে এখন হালালার জন্যও হয়রানি করা হচ্ছে। ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের নরসিংহপুর জেলার। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরই তোলপাড় শুরু হয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী থানায় অভিযোগ করেছেন।
ধর্মীয় স্বাধীনতা আইন, মুসলিম নারী আইন, যৌতুক হয়রানিসহ একাধিক মামলা নথিভুক্ত করে পুলিশ এ ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে। বলা হচ্ছে, পুলিশ এ পর্যন্ত মামলার একজন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে এবং বাকিরা পলাতক রয়েছে। গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, প্রায় ৮ বছর আগে ফারুক নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে ওই তরুণীর বিয়ে হয়। প্রেম করে বিয়ে হয়েছিল। মেয়েটি জানায়, বিয়ের পর থেকে তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে ধর্ম পরিবর্তনের জন্য চাপ দিত। নির্যাতিতা জানায়, তার কাছে যৌতুকও দাবি করা হয়। এই ঘটনায় এখন তদন্ত চলছে।