ঘটনা যে এইদিকে গড়াবে তা বুঝতেই পারেনি ব্রিটেনের ৫ পড়ুয়া৷ কিন্তু যখন ব্যাপারটা চোখের সামনে ঘটলো, কিছুটা বিহ্বল হয়ে গেল তারা৷ তবে নিজেদের মনকে শক্ত করে, কাজে মন দিল প্রত্যেকে ৷
এক বিদেশি খবরের কাগজে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, বিবিসি-র তরফ থেকে স্পেনের এক পর্ন ছবির শ্যুটিং ফ্লোরে ব্রিটেনের ৫ পড়ুয়াকে পাঠানো হয়েছিল ৷ তাদের তথ্যচিত্র তৈরির কাজ দেওয়া হয়েছিল কীভাবে পর্ন ছবি তৈরি হয় তা নিয়েই ৷ পড়ুয়ারা সংবাদমাধ্যমকে যা জানিয়েছে গোটা তথ্যচিত্র শ্যুট করতে গিয়ে, তা হতবাক করার মতো ৷
পড়ুয়াদের কথা অনুযায়ী, পর্ন ক্যাপিটল অফ দ্য ওয়ার্ল্ড, স্পেনকে বলা হয় ৷ সবথেকে বেশি পর্ন ছবি তৈরি হয় স্পেনেই । তাই এই দেশে খুব একটা নাক সিঁটকোতে দেখা যায় না কাউকে পর্ন ছবি নিয়ে ৷ এমনকী, স্পেনে ভালো পর্ন ছবি তৈরি হলে, পুরস্কৃতও করার রীতি রয়েছে সেই ছবির কলাকুশলীদের ৷
তবে এই সবের মাঝেও নারী পাচার, মাদকের নেশার প্রভাব যেভাবে পর্ন ছবিকে ঘিরে বেড়েছে তা কিন্তু দুশ্চিন্তা বাড়ানোর মতোই ৷ তবুও রমরমিয়ে পর্ন ছবির শ্যুটিং স্পেনে চলছে ৷
ভারতীয় বংশোম্ভুত নীলমও এই পাঁচ পড়ুয়াদের একজন ছিল ৷ নীলম সংবাদমাধ্যমকে জানায়, ‘একটি মেয়ের সঙ্গে কিছুক্ষণ আগেই আলাপ হল ৷ খুব হাসি-খুশি ৷ দারুণ সুন্দরী ৷ রাশিয়ার মেয়ে ৷ স্পেনে চাকরির খোঁজে এসেছিল ৷ কিন্তু এখন অভিনেতা পর্ন ছবির ৷ মেয়েটি জানায়, তার এই পেশাটা ভালোই লাগে !’
তবে একটু যায় নীলম ৷ যখন চোখের সামনে কিছুক্ষণ থমকে বসে থাকতে দেখে সেই রাশিয়ান মেয়েটিকে ৷ মেয়েটির দিকে নীলম এগিয়ে যায় ৷ চোখে জল দেখে মেয়েটির ৷ নীলম জানতে চায় তাঁর কী হয়েছে ৷ মেয়েটি নীলমকে বলে, তাঁকে ২০ জন পুরুষের সঙ্গে যৌনতায় লিপ্ত হতে হবে, সে এখনই জানতে পেরেছে, !
নীলম আটকাতে পারে না নিজেকে ৷ কাঁদতে শুরু করে হাউ হাউ করে ৷ নীলমের কথায়, ‘আমি আর দেখব না পর্ন ছবি !’