করোনা সংক্রমণের শুরু থেকে আজ অবধি প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ঢেউয়ের আগমনের পর আশা ছিল যে আর করোনা আসবে না বা মুক্তি মিলবে করোনা থেকে কিন্তু এরপরও বিশেষজ্ঞরা চতুর্থ ঢেউ আসতে পারে বলে মনে করছেন৷ এরমধ্যেই আবার করোনার নতুন রূপ নিয়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে দেশের বিভিন্ন রাজ্য গুলিকে। কিন্তু গোটা দেশ ইতিমধ্যেই করোনার ধাক্কা কাটিয়ে সেরে উঠেছে৷ প্রতিদিন ধীরে ধীরে দেশের করোনা গ্রাফ নামছে নীচের দিকে। করোনা যদিও নিজের দাপট আবারও তৈরী করেছে বিশ্বজুড়ে তবুও ভারতে এখনও সেই দাপট আসতে পারেনি।
ফের করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি নিয়ে বিশ্বে যখন উদ্বেগ বাড়ছে, ঠিক সেই সময়েই দেশের উত্তর পূর্বের রাজ্য অরুণাচল প্রদেশে আশার আলো দেখা গেল। করোনামুক্ত হল এই রাজ্য তিন জন সক্রিয় রোগী সুস্থ হওয়ায়।
রবিবার এক রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, রাজ্যে আর কোনও সক্রিয় করোনা রোগী নেই। সুস্থ হয়ে গিয়েছেন সবাই। ৯৯.৬৬ শতাংশ সুস্থতার হার। সেখানে পজিটিভিটি রেট বা সংক্রমণের হার শূন্য। লোবসাং জাম্পা রাজ্যের পর্যবেক্ষক আধিকারিক জানিয়েছেন, নতুন করে কোনও সংক্রমণও গত ২৪ ঘণ্টায় ধরা পড়েনি। একই কথা জানিয়েছে অরুণাচল প্রদেশ (Arunachal Pradesh) ছাড়াও ত্রিপুরা (Tripura)-। আপাতত করোনা মুক্ত এই দুই রাজ্যই৷ কারণ দুই রাজ্যেই সক্রিয় কোনও করোনা আক্রান্ত নেই এই মুূহূর্তে বলে দাবি করেছে সংশ্লিষ্ট রাজ্য প্রশাসন৷
অনেকটা একই ছবি শুধু অরুণাচল প্রদেশ নয় অসমেও৷ সেখানেও নতুন করে কোনও করোনা আক্রান্তের খোঁজ মেলেনি এদিন৷ গত দশদিনে করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলছে না অসমের বেশিরভাগ জেলাতেই৷ গত ২৪ ঘণ্টায় একজনও করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হননি পণ্ডিেচরীতেও। পণ্ডিচেরীতে পর পর চারদিন একজনের শরীেরএ করোনা ভাইরাস মেলেনি। কেউ এই রাজ্যে করোনা সংক্রমণে মারাও যাননি।
দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্যে নতুন করে সংক্রমণ বৃদ্ধিতে উদ্বেগ তৈরি হচ্ছে সে অরুণাচল প্রদেশ করোনামুক্ত হলেও। ১৬ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে দেশে দৈনিক সংক্রমণ পর পর চার দিন। মহারাষ্ট্র, কেরল, পঞ্জাব, কর্নাটক, তামিলনাড়ু এবং গুজরাতের মোট দৈনিক সংক্রমণের মধ্যে ৮৬ শতাংশই। মহারাষ্ট্র এবং কেরল চিন্তা বাড়াচ্ছে এই রাজ্যগুলোর মধ্যে আবার দৈনিক সংক্রমণের বিষয়ে। অমরাবতী, নাগপুর-সহ মহারাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি জেলায় ইতিমধ্যেই লকডাউন জারি করেছে প্রশাসন সংক্রমণ ঠেকাতে। এই লকডাউনের মেয়াদ ৮ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।