সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে পরিচয় গড়িয়েছিল প্রেমে। সেখান থেকে ঘনিষ্ঠতা, অতঃপর বিয়ের কথা। কিন্তু এরপরে হঠাৎই নাকি ভোজবাজির মতন গায়েব হয়ে গিয়েছেন প্রেমিক। কিছুতেই তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই কোনো উপায় না পেয়ে শেষমেষ প্রেমিকের বাড়ির বাইরে ধর্নায় বসলেন তরুণী। এদিকে ১১ দিন পর হয়ে গেলেও যুবকের টিকি টিরও দেখা মেলেনি। অথচ নিজের দাবিতে অনড় তরুণী। সে অপেক্ষারত প্রেমিকের বাড়ির সামনে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য কোচবিহার জেলায়। এদিকে তাঁকে প্রতিশ্রুতি মতন বিয়ে না করলে আত্মহত্যার করবেন বলে হুমকি দিয়েছেন ওই তরুণী। স্থানীয় সূত্রে খবর প্রেমিকের জন্য প্রথমে কান্নাকাটি করছিলেন প্রেমিকা ওই তরুণী। কিন্তু, তারপরেই কার্যত রেগে যায় সে।
পুলিশ সূত্রে খবর, দিনহাটা-২ নম্বর ব্লকের নয়ারহাটের কিশাগঞ্জ এলাকার এক ব্যাক্তি গৌরাঙ্গ বর্মনের বাড়ির সামনে গত ১১ দিন ধরে প্রেমিকের খোঁজে ধরনায় বসেছেন পাশের গ্রাম কিশামতদশের এক যুবতী। যুবতীর অভিযোগ গৌরাঙ্গ বর্মন নামক ওই যুবক নাকি তাঁকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েও বিয়ে করেনি, উল্টে পালিয়ে গিয়েছেন। অবশ্য ধর্নায় বসলেও এই নিয়ে যেহেতু ওই যুবতী কোনও থানায় এখনও অবধি কোনো লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি তাই পুলিশ এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে পারছেন না। ফলে গৌরাঙ্গ বর্মন নামক ওই যুবক বা তার পরিবারের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নিতে পারবে না পুলিশ।
স্থানীয় বাসিন্দাদের থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, ওই যুবকের মা বাবাদের দাবি যে ওই গৌরাঙ্গ নামের যুবক বর্তমানে চাকরির কারণে বাইরে বসবাস করেন। তাদের ছেলের সাথে ওই তরুণীর কোনওরকম সম্পর্ক আছে বলে তাদের জানা নেই।
ওই ঘটনাস্থলে মহিলা সমিতির সদস্যরাও চলে আসেন৷ ওই যুবকের মা-বাবার কাছে তারা দাবী জানান যে অবিলম্বে তাঁর ছেলেকে নিয়ে এসে বিয়ে দিতে হবে ওই তরুণীর সাথে। বাসন্তী বর্মন মহিলা সমিতির নেত্রী বলেন , “গৌরাঙ্গ বর্মন যুবতীর সঙ্গে যে ব্যবহার করেছে তা কখনই মেনে নেওয়া সম্ভব নয় । আর সেই কারণেই ওই যুবকের মা বাবাকে তাদের ছেলে গৌরাঙ্গকে ফিরিয়ে এনে সসম্মানে ওই তরুণীর সাথে বিয়ে দিতেই হবে।”