করোনার ত্রাস থেকে পুরোপুরি মূক্তির দিকে এগোচ্ছে দেশ। সব রকম কোভিড বিধি উঠে যাবে কয়েক দিনের মধ্যেই । এর আগেই বেশ অনেকখানি কমলো দেশের দৈনিক করোনা সংক্রমণ। ভারতের আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা আগের মতই স্বাভাবিক হচ্ছে। আর এর আগে দেশি ও বিদেশী বিমান সংস্থা গুলি তৈরী করছে নিজেদের পরিষেবা ঠিক রাখতে। সমগ্র ভারতের ভিন্ন ভিন্ন রুটে বিমান চালানোর কথা জানিয়েছে তারা।
শুক্রবার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের (Ministry of Health and Family Welfare) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশে করোনা (Coronavirus) আক্রান্ত হয়েছেন গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৬৮৫ জন। যা বেশ খানিকটা কম গতকালের তুলনায়। দেশে অ্যাকটিভ কেস ধীরে ধীরে কমছে। বর্তমানে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা দেশে ২১ হাজার ৫৩০ জন। দেশে অ্যাকটিভ কেসের হার আপাতত ০.০৫ শতাংশ। দৈনিক সংক্রমণ কমের দিকে থাকলেও আবারও মৃত্যুহার কিছুটা বেড়েছে। রিপোর্ট বলছে, করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৮৩ জন গত ২৪ ঘণ্টায়। যা ৬৭ ছিল মাত্র গত বৃহস্পতিবার। দেশে এখনও পর্যন্ত কোভিডে মৃত্যু হয়েছে ৫ লক্ষ ১৬ হাজার ৭৫৫ জনের।
অন্যান্য সূচকের মতোই স্বস্তিজনক দেশের সুস্থতার হার। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত দেশে ৪ কোটি ২৪ লক্ষ ৭৮ হাজার ৮৭ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। যার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ২ হাজার ৪৯৯ জন। সব মিলিয়ে দেশের করোনা পরিস্থিতি স্বস্তিদায়ক হলেও বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বাড়ছে ওমিক্রনের নয়া প্রজাতি ‘স্টেল্থ ওমিক্রনে’র দাপট। বিশেষ করে দক্ষিণ কোরিয়া, চিনের পরিস্থিতি এখনও উদ্বেগজনক।
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য জানাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত দেশে প্রায় ১৮২ কোটি ৫৫ লক্ষ্যের বেশি ডোজ করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে গতকাল ভ্যাকসিন পেয়েছেন সাড়ে ২৯ লক্ষের বেশি। দেশজুড়ে চলছে ১২ থেকে ১৪ বছর বয়সিদের টিকাকরণ। এদিকে টিকাকরণে জোর দেওয়ার পাশাপাশি করোনা রোগী চিহ্নিত করতে চলছে টেস্টিংও। কেন্দ্রের তরফে চিঠি দিয়ে প্রতিটি রাজ্যকেই কোভিড পরীক্ষায় জোর দিতে বলা হয়েছে। গতকাল দেশে ৬ লক্ষের ৯১ হাজার ৪২৫ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।