রাজস্থানের উদয়পুর জেলায়ও একটি ভয়াবহ অমানবিক কর্মকাণ্ডের কথা প্রকাশ্যে এসেছে। মাত্র ১৩ বছর বয়সী ননদ ঘর গৃহস্থলীর কাজে সেইভাবে পটু নয়। এই কারণেই চক্ষুশূল হয়ে উঠলো সে তার বৌদির। আর এই ১৩ বছরের নিষ্পাপ মেয়ের সাথে নৃশংস আচরণ করা হলো। এই নিষ্পাপ মেয়েটির সাথে এই অমানবিক আচরণ কেউ নয়, তার মাসতুতো দাদার বউই (বৌদি) করেছে। এই মেয়েটিকে তার মাসতুতো বৌদি ছুরি গরম করে সেটা দিয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করে। শুধু তাই নয় বেধড়ক মারধরও করে। জানা গিয়েছে এই মেয়েটির মাসতুতো দাদা আর বৌদি তার বোনকে পড়ানোর অজুহাতে বিহার থেকে উদয়পুরে নিয়ে আসে। কিন্তু এইমাত্র দাদা বৌদির উদ্দেশ্য ছিল ভয়ঙ্কর। শিশু কল্যাণ কমিটি বিষয়টি জানতে পেরে একটি দল পাঠিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করে। বর্তমানে মেয়েটিকে আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।
শিশু কল্যাণ কমিটির চেয়ারম্যান ধ্রুব কুমার জানান, ১৩ বছর বয়সী এই নাবালিকা মেয়েটি বাড়ির কাজ ঠিকমতো করতে না পারার কারণে তার সঙ্গে নিষ্ঠুর আচরণ করা হয়। তার বৌদি গরম ছুরি দিয়ে রীতিমত তার মুখ ও হাত-পায় দাগ ফেলে দেয়। এই নাবালিকা মেয়েটিকে বিহার থেকে উদয়পুরে নিয়ে এসেছিল তার মাসতুতো দাদা ও বৌদি পড়াশোনা করানোর অজুহাতে। কিন্তু লেখাপড়া তো দূরের কথা, বৌদির অত্যাচারে দিন কাটানো দায় হয়ে উঠেছিল এই মেয়েটির।
স্ত্রীর ভয়ে এই সব নৃশংস ঘটনা দেখেও কোনো প্রতিবাদ করেনি মেয়েটির মাসতুতো দাদা। সে উদয়পুরে দিন মজুরির কাজ করেন। কাজে যাওয়ার পর বৌদি তার ১৩ বছর বয়সি ননদকে দিয়ে সারাদিন বাড়িতে কাজ করিয়ে নিতেন এবং কাজে সামান্য ভুল হলেই লাঠি দিয়ে মারতেন। এরপর একদিন অত্যাচারের মাত্রা চরমে ওঠে যখন গরম ছুরি দিয়ে বারবার তার হাত, পায়ে ও মুখে দাগ ফেলে দেওয়া হয়। অমানবিকতার সব সীমা অতিক্রম করে যায় তিনি। গত দুই বছর ধরে এমন নির্যাতনের শিকার হচ্ছে নিষ্পাপ মেয়েটি।
ধ্রুব কুমার জানান, শিশু কল্যাণ কমিটি এক সূত্র মারফত খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছে মেয়েটিকে উদ্ধার করে। চাইল্ড লাইন ও সাভিনা পুলিশের দল মেয়েটির সঙ্গে কথা বলে তাকে আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠিয়েছে। তাকে কাউন্সেলিং করা হচ্ছে। সে তার বাবা-মায়ের কাছে যেতে চায়। কাউন্সেলিংয়ে জানা গেছে, ছোটখাটো ভুল হলেই নিরপরাধকে মারধর করতেন তার বৌদি।