Dainik Sangbad – দৈনিক সংবাদ
Image default
FEATURED ট্রেন্ডিং

নতুন প্রজাতি স্টিলথ ওমিক্রন কি বয়ে আনবে করোনা চতুর্থ ঢেউ! জানুন কতোটা বিপজ্জনক

চলতি বছরের শুরুর দিকে করোনা তৃতীয় ঢেউয়ের (Covid third wave) ধাক্কায় বেসামাল হয়েছিল গোটা বিশ্ব। এর নেপথ্যে ছিল করোনা ভাইরাসের নতুন প্রজাতি ওমিক্রণ (Omicron)। এরপর ফেব্রুয়ারি মাসের পর থেকে ভারতসহ সারা বিশ্বেই ক্রমাগত কমছিল করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। এ কারণে আশা করা হচ্ছিল, অচিরেই বিশ্ব করোনা সংক্রমনের করাল গ্রাস থেকে মুক্তি পাবে। তবে, এই আশা বর্তমানে ক্ষীণ বলে মনে হচ্ছে। ওমিক্রন ভেরিয়েন্টের (omicron variants ) একটি নতুন উপ-ভেরিয়েন্টের কারণে আবারও সারা বিশ্বে মাথা চাড়া দিচ্ছে করোনা। এই নতুন উপ প্রজাতির নাম দেওয়া হয়েছে স্টিলথ ওমিক্রন (stealth omicron) । চীন ও কোরিয়ায় এই কারণে দ্রুত করোনা সংক্রমনের নতুন নতুন কেস আসছে। এ ছাড়া ইসরায়েল থেকেও সামনে এসেছে স্টিলথ ওমিক্রনের (stealth omicron) নতুন কেস। এই নতুন রূপের কারণে বিশ্বে করোনা ভাইরাসের চতুর্থ তরঙ্গের (fourth wave) আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। জেনে নেওয়া যাক কতটা বিপজ্জনক এই স্টিলথ ওমিক্রন..

স্টিলথ সাব ভ্যারিয়েন্ট(stealth sub variant)বিপজ্জনক কারণ এটি সনাক্ত করা কঠিন। এটি Omicron ভেরিয়েন্ট থেকে বেশ আলাদা। এটি Omicron এর দুটি উপ-ভেরিয়েন্টের ( sub variant) সমন্বয়ে গঠিত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে যে এই উপ-ভেরিয়েন্টটিও ওমিক্রনের মতোই বিপজ্জনক। হু (WHO) বলেছে যে করোনার এই বৈকল্পিকটির উপর নিবিড় নজর রাখা দরকার কারণ এটি করোনা টেস্টে (covid test) ধরা পড়া শক্ত। এ ছাড়া বিশ্বজুড়ে কমতে থাকা করোনা সংক্রমনের বিষয়ে সংস্থাটি বলেছে, টেস্টিং কমে গেছে এবং এর কারণেও কম কেস দেখা যাচ্ছে।

স্টিলথ ওমিক্রন সম্পর্কিত স্বস্তির বিষয়ও আছে…

এই নতুন প্রজাতি, স্টিলথ ওমিক্রন(stealth omicron)সম্পর্কে একটি স্বস্তিজনক বিষয় হচ্ছে যে এটি শুধুমাত্র শ্বাসযন্ত্রের সিস্টেমের উপরের অংশকেই প্রভাবিত করে। অর্থাৎ এটি ফুসফুসে পৌঁছায় না এবং গলা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকে। ওমিক্রনেরও অনুরূপ উপসর্গ ছিল। এর আগে, ভারতে দ্বিতীয় ঢেউয়ের জন্য দায়ী ডেল্টা ভেরিয়েন্ট সরাসরি ফুসফুসে আক্রমণ করছিল এবং এর কারণে শরীরে অক্সিজেনের অভাব দেখা দিচ্ছিল। যার কারণে প্রচুর মানুষের মৃত্যু হয়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্টিলথ ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে মাথা ঘোরা, দুর্বলতা এবং ক্লান্তির লক্ষণ দেখা যায়। ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার দুই থেকে তিন দিন পর এই লক্ষণগুলো প্রকাশ পায়। এ ছাড়া জ্বর, কাশি, গলা ব্যথা, পেশিতে ব্যথা, ঠান্ডা লাগা এবং দ্রুত হৃদস্পন্দনও এর লক্ষণ। চীনে এই স্টিলথ ওমিক্রনের কারণে, করোনা সংক্রমনের ঘটনা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। খোদ উহানেই তৃতীয়বারের মতো করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫ হাজার ছাড়িয়েছে। এ ছাড়া ইসরায়েলও দুটি করোনা কেসের কথা নিশ্চিত করা হয়েছে। পাশপাশি দক্ষিণ কোরিয়াতেও আবারও বাড়ছে করোনা সংক্রমণ।

Related posts

মা এই খাবারগুলো খেলে গর্ভের শিশুর মুখে হাসি ফুটে ওঠে! গবেষণায় অবাক বিজ্ঞানীরা

News Desk

মাথার হীরে খচিত তাজের দাম ৫ মিলিয়ন ডলার, আর কী কী পাচ্ছেন মিস ইউনিভার্স হারনাজ সান্ধু?

News Desk

আবারও করোনা নিয়ে চিন্তায় রাখছে চিন ও দক্ষিণ কোরিয়া, ভারতে করোনা সংক্রমণ নিম্নমুখী

News Desk