এক আত্মঘাতী গৃহবধূর ঝুলে থাকা দেহ উদ্ধার হয়েছে তার বাড়ি থেকেই। ওই মহিলার পরিবারের থেকে ওই মহিলার শশুর, শাশুড়ি এবং তার ননদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ করেছে। তারা আরও বলেন যে ওই মহিলার পরপর দুবার কন্যা সন্তান হয়, আর তার শশুড়বাড়ির কেউ তা মেনে নিতে পারেনি, আর সে কারণেই ওই গৃহবধুকে খুন করে ঝুলিয়ে দিয়েছে তারা। ঘটনাটি ঘটেছে মালদার চাঁচোল থানার চণ্ডীপুর গ্রামে জী ২৪ ঘন্টার প্রতিবেদন অনুযায়ী। ওই মৃতার পরিবার থেকে তার শশুড়বাড়ির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানান তারা চাঁচল থানায়। ওই অভিযুক্তরা এখন পালিয়ে গেছেন।
স্থানীয় সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী জানা গেছে, বছর সাতেক আগে মালদা জেলার চাঁচলের দরিয়াপুর গ্রামের বাসিন্দা প্রতিমা কর্মকারের সঙ্গে চন্ডিপুরের বাসিন্দা মনোজ থোকদারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর সব কিছু মোটামুটি ঠিকই ছিল কিন্তু বিপত্তি হল যখন পরপর দুবারই কন্যা সন্তানের জন্ম দিলেন প্রতিমা দেবী আর তারপর থেকেই তার উপর পাশবিক অত্যাচার শুরু করে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা।
ওই মৃতার মা অর্চনা কর্মকারের অভিযোগ শশুর, শাশুড়ি এবং ননদ তার মেয়ের উপর দুটি কন্যা সন্তান হওয়ার পর থেকেই অত্যাচার করত। তার মেয়ের শশুড়বাড়ির গ্রামে বেশ কয়েকবার এই ব্যাপারে শালিশিসভা বসিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করেও কোনও লাভ হয়নি।
সোমবার বেশ রাতের দিকে প্রতিমার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় তার শশুরবাড়ির শোবার ঘর থেকে। কিন্তু মৃতার দুই গেলে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। মৃতার মা অর্চনা দেবীর দাবী যে প্রতিমার শশুর, শাশুড়ি এবং ননদ মিলে খুন করেছে তার মেয়েকে।
চাঁচল থানায় মৃতার পরিবারের থেকে এই ঘটনার লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এই ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্তরা। পুলিস ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ উদ্ধার করে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে। পুলিস গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।