আমরা প্রত্যেকেই আমাদের জীবনে নিশ্চয়ই এমন অনেক অদ্ভুত ঘটনার কথা শুনেছি, যেগুলো সম্পর্কে শুনলে অবাক হয়ে যেতে হয়। তবে আজ যে ঘটনাটি সম্পর্কে এখানে এই প্রতিবেদনের আপনাকে আমরা জানাতে যাচ্ছি তা জানলে আপনি অবাক হয়ে যাবেন এটা নিশ্চিত। ডেইলি স্টারের এক প্রতিবেদনে সামনে এসেছে এমনই চমকপ্রদ এক খবর। যেখানে বলা হয়েছে, এক মহিলার গোপনাঙ্গে এক দুই মাস নয়, গোটা চার বছর ধরে আটকে ছিল কাঁচের গ্লাস। কাঁচের গ্লাস আটকে যাওয়ার এই বিষয়ে জেনে চিকিৎসকরাও হতবাক।
চিকিৎসকরা ওই নারীর গোপনাঙ্গে অস্ত্রোপচার করে কাচের গ্লাসটি বার করে আনেন। আসলে তিউনিসিয়ার নিবাসী একজন ৪৫ বছর বয়সী মহিলা সবসময় তার গোপনাঙ্গে ব্যথা অনুভব করত। এ কারণে বারবার প্রস্রাব করতে যেতে হতো ওই নারীকে। এই যন্ত্রণা গত ৪ বছরে এতটাই বাড়তে থাকে যা সহ্যের বাইরে চলে যায়। এর পর ওই মহিলা চেকআপের জন্য চিকিৎসকের কাছে যান। এরপর চিকিৎসক জানান, এটি কোনো সাধারণ সংক্রমণ নয়।
চিকিৎসক পরীক্ষা করে জানান, ওই নারীর শরীরের গোপনাঙ্গে ৮ সেন্টিমিটার লম্বা একটি পাথর রয়েছে। মহিলার শরীরে এত লম্বা পাথর রয়েছে জেনে হতবাক হয়ে যান চিকিৎসকরাও। কিডনি স্টোন সাধারণত এত বড় হয় না। এরপর ওই নারীর গোপনাঙ্গে অস্ত্রোপচার করে পাথরটি বের করা হয়। পাথর বের হতে না হতেই তার মধ্যে একটি কাঁচের গ্লাস দেখে বাক্যহারা চিকিৎসকেরা। তিউনিসিয়ার স্ফ্যাক্স সিটির হাবিব বোরগুইবা বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মহিলার মূত্রাশয়ের ভেতরে একটি ৮ সেন্টিমিটার লম্বা পাথর ছিল, যার ভিতরে একটি কাঁচের গ্লাস ছিল। এটি মহিলার গোপনাঙ্গে প্রবেশ করে মূত্রাশয় পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছিল। কি করে কাঁচের গ্লাস গোপনাঙ্গে এলো। ওই নারী জানান, কয়েক বছর আগে তার সঙ্গে যৌন নিগ্রহের ঘটনা ঘটে। তখন তার শরীরে এটি প্রবেশ করানো হয়ে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন ওই নারী। তবে ওই নারী এই দাবি অবশ্য নিশ্চিত ভাবে করেননি। ওপেন সার্জারির মাধ্যমে ওই নারীর শরীর থেকে গ্লাসটি বার করে দেন চিকিৎসকরা।