বেশ কিছুদিন আগে বিয়ে হয়েছে তরুনীর। দিব্যি সুখের সংসার চলছিল তার। আচমকাই এলো এক ঝড়। স্বামীর ফোনে হঠাৎই কোন নম্বর থেকে আসতে থাকলো স্ত্রীর আপত্তিকর কিছু ছবি। স্বভাবতই বিষয়টাকে ভালোভাবে নেয়নি স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন। যুবতীকে সন্দেহ করে, জিজ্ঞাসাবাদ, রাগারাগি শুরু করেন শ্বশুরবাড়ির পরিজনেরা। এছাড়াও দেখেশুনে বিয়ে হওয়ায় খবর যায় তরুনীর বাপের বাড়িতেও। মেয়ের বিবাহিত জীবনে অশান্তির ছায়া পড়ায় মেয়েটির মাও চিন্তিত হয়ে পড়ে।
দেখা যায় ছবিটি পাঠিয়েছেন পরিচিত এক যুবক। এইদিকে যুবকটির সাথে তরুণীর কোনো প্রেমঘটিত সম্পর্ক ছিল না বলেই দাবী করেছেন বিবাহিত ওই তরুণী। কিন্তু তাও কেন ওই যুবক এমন ভাবে ছবি পাঠিয়ে ব্ল্যাকমেল করছে? জিজ্ঞাসা করতে তার বাড়িতে পৌঁছয় তরুণী ও তার মা। তারা প্রতিবাদ করতে পৌঁছলেই যা ঘটালেন অভিযুক্ত…
ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাশিপুরে। সেখানকার এক বিবাহিত মহিলার গোপন ছবি দেখিয়ে তাকে ব্ল্যাকমেল করার অভিযোগ উঠল তরুণীর বাপের বাড়ির পড়শী এক যুবকের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে ওই বিবাহিত তরুণী ও তার মা-ভাইকে শারীরিক নিগ্রহ, মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এই কারণে তিনজন গুরুতর আহত হন। গোটা ঘটনা ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে পুরো এলাকায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযোগের তীর কাশিপুরেরই বামুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা রাহুল সর্দারের দিকে। জানা গিয়েছে, রাহুল সর্দার নামের ওই যুবক তরুনীর বিয়ের আগের তার একটি ছবি নিয়ে তাকে ব্ল্যাকমেইল করার চেষ্টা করছিল। শেষ অব্দি ছবিটি পাঠিয়ে দেয় তরুনীর স্বামীকে। কেন যুবক এমনটা করছে, কেন তার সংসারে অশান্তি ধরাচ্ছে জিজ্ঞাসা করতে নিজের ভাইকে নিয়ে তার বাড়িতে যায় গৃহবধূ। কিন্তু উল্টে রাহুল নামক ওই যুবক ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। চড়াও হয় তাদের উপর। তরুণীকে মারধর করে, ছাড়েনি তার মা ও ভাইকে ও। জানা গেছে গৃহবধূর মায়ের মাথা ফেটে গেছে। এই ঘটনার জেরে কাশিপুর থানায় দায়ের হয়েছে লিখিত অভিযোগ। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
টিভি৯ বাংলার প্রতিবেদনে জানা গেছে এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গৃহবধূর বক্তব্য। তিনি জানিয়েছেন, “আমার সাথে কখনো কোনও সম্পর্ক ছিল না। আচমকাই কিছুদিন আগে আমার কয়েকটি ছবি আমার স্বামীর কাছে পাঠিয়ে দেয় পরিচিত প্রতিবেশী ওই যুবক। তারপর থেকেই অশান্তির সূত্রপাত হয়। স্বামী রাগারাগি করতে থাকে। যেই কারণে কথা বলতে আমি আমার-মা রাহুলের বাড়ি যাই। ওখানে গেলে রাহুল আমায়, আমার মা, আর ভাইকে মারধর শুরু করে।”