বিহারের বেত্তিয়ায় হোলির দিনে পুলিশ হেফাজতে থাকা এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এতে বিক্ষুব্ধ জনতা থানার সামনে ক্ষোভ প্রদর্শন করে ও পুলিশের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। একই সময়ে গ্রামবাসী ও পুলিশের মধ্যে এই সহিংস সংঘর্ষে একজন পুলিশকর্মী রাম জতন সিংও মারা যান।
এমতাবস্থায় এবার এ বিষয়ে নতুন তথ্য জানা গিয়েছে। হেফাজতে থাকা ব্যক্তির মৃত্যুর ৭ ঘণ্টা পর বিষয়টি শান্ত হতেই অদ্ভুত বক্তব্য দিয়েছেন এসপি। তিনি বলেন, পুলিশের মারধরে নয়, মৌমাছির কামড়েই নাকি যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
বেত্তিয়ার এসপি উপেন্দ্র নাথ ভার্মা জানান, থানা চত্বরে মৌমাছির চাক হয়েছিল। যেখানে ওই যুবক কে আটক রাখা হয়েছিল সেখানে মৌমাছি ঢুকে পড়ে। এরপর মৌমাছির কামড়ে যুবকের স্বাস্থ্যের অবনতি হয়। এমতাবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় ওই যুবকের। কিন্তু গ্রামে গুজব ওঠে যে পুলিশের মারধরে যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এতে গ্রামের লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে থানায় হামলা চালায়। বিক্ষুব্ধ জনতা গুলি চালায় ও ভাঙচুর করে।
ভার্মা জানান, এই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন পুরুষোত্তমপুর থানার কনস্টেবল। এ সময় উত্তেজিত জনতা পুলিশের তিনটি গাড়ি, একটি ফায়ার সার্ভিস ও দুটি ব্যক্তিগত গাড়িতে আগুন দেয়। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানান এসপি।
উল্লেখ্য, শনিবার বিকেলে টহল দেওয়ার সময় মদ্যপ অবস্থায় অভব্য আচরণ এবং ডিজে বাজানোয় ওই যুবক কে থানায় ধরে নিয়ে আসে পুলিশ। ওই যুবকের নাম অনিরুদ্ধ। পুলিশ হেফাজতে ওই যুবকের মৃত্যু হয়। এরপর বাড়িতে খবর দিলে উত্তেজনা ছড়ায়। পরিবারের অভিযোগ, পুলিশ ওই যুবককে বাঁট দিয়ে পিটিয়ে মেরেছে। এরপরই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বালথার থানা ঘেরাও করে হাজার হাজার গ্রামবাসী। থানা ভাঙচুরের পর পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় পুলিশ থানা। গ্রামবাসীরা থানার ৩টি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। থানায় উপস্থিত পুলিশ কর্মীদের মারধর শুরু করে। পুলিশ সদস্যরা প্রাণ বাঁচিয়ে মাঠে দৌড়ে যায়। উত্তেজিত জনতা পেছন থেকে পাথর ছুড়তে থাকে। একই সঙ্গে বলথার চকে পুলিশের একটি জিপও ভাঙচুর করা হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলেই জানানো হয়েছে।