Dainik Sangbad – দৈনিক সংবাদ
Image default
FEATURED ট্রেন্ডিং

ফেসবুক বন্ধুর প্রেমে পড়লেন দুই সন্তানের মা! জানতে পেরে স্বামী নিলেন এক অভিনব পদক্ষেপ

ঝাড়খণ্ডের জামশেদপুর জেলার এক অভিনব প্রেমের বিস্ময়কর গল্প এখন আলোচনার বিষয় বস্তু হয়ে দাড়িয়েছে। ফেসবুকে বন্ধুত্ব, সেই থেকে এক যুবকের প্রেমে পড়েন এক মহিলা। প্রসঙ্গত ওই নারী বিবাহিত এবং সাথে সাথে দুই সন্তানের জননীও বটে। মহিলার স্বামী বিষয়টি জানতে পেরে প্রথমে বোঝানোর চেষ্টা করেন, কিন্তু স্ত্রী বুঝতে না চাইলে স্ত্রীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে ওঠান এক অভিনব পদক্ষেপ।

মিডিয়া রিপোর্টস্ অনুযায়ী, জামশেদপুর থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত রয়েছে কারাঘোড়া গ্রাম। এখানে নমিতা মাহতোর সঙ্গে ২০১৬ সালে বিয়ে হয়েছিল সঞ্জয় মাহাতোর। তাদের একটি ছেলে ও মেয়ে রয়েছে। সঞ্জয়ের স্ত্রী বেশ কয়েকদিন আগে থেকে জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ফেসবুক ব্যবহার করা শুরু করেন। এ নিয়ে সঞ্জয় ও নমিতার মধ্যে বেশ কয়েকবার ঝগড়াও হয়। নমিতাকে হোয়াটসঅ্যাপে গোপনে কারও সঙ্গে চ্যাট করতেও দেখেন তার স্বামী সঞ্জয়। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে প্রায়ই অশান্তি, তর্কাতর্কি লেগেই থাকত।

jack and herby relationship

অনেক বোঝানোর পর নমিতা প্রথমে তার স্বামীর কথা মেনে নিলেও কিছুদিন পরের থেকে সে আবারও কারো সাথে কথা বলতে থাকে। এর পরে, ধীরে ধীরে এমন অনেক তথ্য উঠে আসে যার থেকে সঞ্জয় নিশ্চিত হন যে নমিতা অন্য কাউকে ভালবাসে এবং তার সাথেই থাকতে চায়। সে আর স্বামীর ঘর করতে চায় না।

নমিতা যাকে ভালোবাসতেন তিনি মুম্বাইয়ের বাসিন্দা। বলা হচ্ছে, নমিতা তার প্রেমিক ‘সুকরা’ কে মেসেজ করেছিল যে যদি সে তার কাছে না আসে তবে সে চরম পথ বেছে নেবে। নিজেকে শেষ করে দেবে। সুকরা গ্রামে আসার সাথে সাথে নমিতা তার সাথে কোথাও চলে যায়। এদিকে কাউকে কিছু না জানিয়েই হঠাৎ করেই বাড়ি থেকে স্ত্রী নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার পর পুলিশের কাছে স্ত্রীর মিসিং ডায়েরি করেন স্বামী সঞ্জয়। পুলিশি তদন্তে নামার আগেই ওই মহিলা ও তার মুম্বাই দুজনেই পুনরায় গ্রামে ফিরে এলে পঞ্চায়েত বসানো হয় ফয়সালা করার জন্য।

নমিতাকে অনেক বোঝানো হলেও সে তার প্রেমিকের সাথে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্তেই অনড় থাকে। কোনো অবস্থাতেই প্রেমিককে ছেড়ে স্বামীর সংসারে ফিরে যেতে চাননি তিনি। অবশেষে গ্রামবাসীর সম্মতির পর পঞ্চায়েত দুজনকে একসঙ্গে থাকার অনুমতি দেয়। পরে নমিতার স্বামীও শেষমেষ এতে রাজি হন। কোনো অশান্তি না করেই স্ত্রী কে নিজের প্রেমিকের সাথে যেতে দেন। তবে তিনি শর্ত দেন যে তাকে তাঁর সন্তানদেরও নিয়ে যেতে হবে।

Related posts

ভাঙা আয়না বাড়িতে রাখলে বা মুখ দেখলে কি সত্যিই নেমে আসে অমঙ্গল?

News Desk

১২ বছরের বাচ্চা মেয়েদের সাথে এ কি জঘন্য কাজ করলেন ৫৯-এর বৃদ্ধ! সামনে এলো জঘন্য কীর্তি

News Desk

প্রেমিকের দেহ কোলে অঝোরে কাঁদছেন তরুণী! প্রথমবার দেখা করতে যাওয়াই কাল হলো..

News Desk