কাজ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে নাবালিকাকে বিক্রি করে দেওয়া হল। দিল্লিতে নিয়ে আসার পর মর্মান্তিক পরিণতি শিকার হল সে। দিল্লির মালব্য নগর এলাকায় পশ্চিমবঙ্গের নিবাসী এক কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনা সামনে এসেছে। বলা হচ্ছে, কিছু লোক চাকরি দেওয়ার নাম করে নাবালিকাকে দিল্লিতে নিয়ে এসেছিল। তারপরই ধর্ষণের শিকার হয় সে। মালব্য নগর থানা এলাকায় নির্যাতিতার বয়ানের ভিত্তিতে একটি মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে এবং অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। পুলিশ ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষা করিয়েছে।
এই কিশোর মূলত শিলিগুড়ির বাসিন্দা। নির্যাতিতা তার জবানবন্দিতে পুলিশকে জানায়, তার পাড়ায় বসবাসকারী তার পরিচিত এক বৌদি তাকে নিজের বান্ধবী মমতার সাথে দেখা করিয়ে দেয়। যে তিন বছর আগে তাকে কাজ দেওয়ার কথা বলে দিল্লিতে নিয়ে এসেছিল। এর পর মমতা তাকে পঞ্চশীল বিহারে তার বান্ধবী রীনার বাড়িতে নিয়ে যায় এবং সেখানে কয়েকদিন নাবালিকা কিশোরী থাকে।
ভুক্তভোগীর কিশোরীর অভিযোগ, চাকরি দেওয়ার নাম করে নির্যাতিতাকে বিক্রি করেছে মমতা ও রীনা নামে ওই দুই মহিলা। শুধু তাই নয়, এরপর থেকে দিল্লির অনেক এলাকায় নিয়ে গিয়ে নির্যাতিতার সঙ্গে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে এবং নির্যাতিতা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। নাবালিকা হাসপাতালে পৌঁছানোর পর হাসপাতাল পুলিশ প্রশাসনকে বিষয়টি জানায়। এরপরই পুলিশ নির্যাতিতার বয়ানের ভিত্তিতে মামলা রুজু করে অভিযুক্তের খোঁজ শুরু করে।
একই সঙ্গে এ বিষয়ে পুলিশ বলছে, ভিকটিমের বক্তব্যের ভিত্তিতে মামলা করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে, শিগগিরই সব আসামিকে গ্রেপ্তার করা হবে।
অপরদিকে রাজধানী দিল্লিতে অবসরপ্রাপ্ত ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো (আইবি) অফিসারের বিরুদ্ধে নাবালিকা মেয়েকে ধর্ষণের মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, ঘটনাটি ৮ মার্চের। ৬০ বছর বয়সী অবসরপ্রাপ্ত আইবি অফিসারের বিরুদ্ধে ১৭ বছর বয়সী নাবালিকা ধর্ষণের অভিযোগ এনেছে। নির্যাতিতা মেয়েটির মতে, অভিযুক্ত চাকরির ইন্টারভিউয়ের অজুহাতে করোলবাগের একটি হোটেলে তার সাথে দেখা করতে ডেকেছিল। হোটেলেই মেয়েটিকে ধর্ষণ করেছে অভিযুক্ত। এই বিষয়ে দিল্লির করোলবাগ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে মেয়েটির বাবা মা। তদন্ত চলছে।