Dainik Sangbad – দৈনিক সংবাদ
Image default
FEATURED ট্রেন্ডিং

দুই বছরে ১৫টি মেয়ের বাড়ী থেকে সম্বন্ধে ‘না’! বিয়ে হচ্ছে না এই অবসাদে চূড়ান্ত পদক্ষেপ যুবকের

গত দু’বছরে না হলেও ১৫টি মেয়ে দেখেছিলেন বিয়ের জন্য। বেশিরভাগ জায়গা থেকেই একবার দেখাতেই পাত্রী পক্ষ বিয়ের সম্বন্ধ ভেঙে দিয়েছিল। সব জায়গা থেকেই বিয়ের জন্য না করায় যুবকের মনের মধ্যে এই ধারণা পাকা হয়েছিল যে বিশেষভাবে সক্ষম হওয়ার জন্যই হয়তো তাঁর বিয়ে হচ্ছে না। আর এই কষ্ট থেকেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হলেন বিশেষভাবে সক্ষম এক যুবক৷

যুবকের বাড়ির লোক জানান গত দু’বছরে বিয়ের জন্য বহুবার তারা মেয়ে দেখেছিলেন। কখনও নিজেরা সম্বন্ধ খুজেঁ গেছেন, আবার কখনও কেউ ছেলেটির সম্বন্ধ নিয়ে এসেছিল। কিন্তু যেহেতু তার ছেলের উপর ‘প্রতিবন্ধীর’ তকমা ছিল! সেই কারণে দু’বছরে অন্তত পনেরোটি মেয়ের পরিবার সম্বন্ধ ভেঙে দেয়। এটা ওই যুবক মেনে নিতে পারেনি। এরপরই ওঠায় সে চূড়ান্ত পদক্ষেপ। অভিমানেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করলেন বছর ত্রিশের মনোজ ঘোষ নামক ওই যুবক৷ দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুমারগঞ্জ ব্লকের বটুন গ্রাম পঞ্চায়েতের কৃষ্ণগর এলাকার বাসিন্দা সে। শুক্রবার সকালবেলা তার বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে গাছে ঝুলন্ত প্রাণহীন অবস্থায় তাঁকে পাওয়া যায়। জানানো হয় পতিরাম থানার পুলিশকে। পরে পুলিশ এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে পাঠায়। পরিবারের লোকের ধারণা কিছুতেই বিয়ে না হওয়ায় মানসিক অবসাদ থেকেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে মনোজ। অবশ্য পুলিশ ওই যুবকের আত্মহত্যার কারণ খতিয়ে দেখছে।

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ছোটবেলা থেকেই মনোজের ডান হাতে সমস্যা ছিল। অবশ্য তিনি প্রতিকূলতাকে জয় করে জীবন যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছিলেন৷ পড়াশুনা শেষে বাবার সঙ্গে চাষাবাদের কাজ শুরু করে সে ৷ ভাই ও বাবা মাকে নিয়ে ছিল মনোজের সংসার। তবে গত বছর ভাই হঠাৎই আত্মহত্যা করে।

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে বছর দুই আগে মনোজ বাড়িতে জানায় সে বিয়ে করতে চায়। তারপর থেকেই মনোজের জন্য পাত্রী দেখতে শুরু করে পরিবার। কিন্তু সব জায়গা থেকেই না আসে। এক দুই জায়গায় কথা একটু এগোলেও ছেলে বিশেষ ভাবে সক্ষম হওয়ায় সম্বন্ধ ভেঙে দেয় তারা ৷ তার শারীরিক কারণেই এই সব হচ্ছে ভেবে মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছিল মনোজ। বাড়িতে সবসময় মনোজ বলতেন তার আর বিয়ে করা হলো না। বাবা মা না থাকলে ভবিষ্যতে তাঁকে কে দেখবে এটা তার চিন্তা ছিল। এরপরই শুক্রবার সকালে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মৃতদেহ উদ্ধার হয়।

জানা গিয়েছে মারা যাওয়ার আগে মনোজ মারা যাওয়ার পর সৎকারে যা যা লাগে তার সবকিছুই গুছিয়ে একটা ব্যাগে রেখে গিয়েছিল সে। সেখানে ছিল তুলসীগাছ, ধূপকাঠি, গীতা ইত্যাদি৷ ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে ৷ দ্বিতীয় সন্তান কেও হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছে মনোজের বাবা মা।

Related posts

নারীদের কি পুরুষদের তুলনায় সেক্সের চাহিদা দ্বিগুণ হয়? জানুন আসল সত্যিটা

News Desk

চোখ রাঙাচ্ছে করোনা, উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে অ্যাকটিভ কেস, ১০ রাজ্যকে সতর্কতা কেন্দ্রের

News Desk

চূড়ান্ত অর্থাভাব! তাও ঘুঘনি বেঁচেই ছেলে মেয়েকে উচ্চ শিক্ষিত করছেন ঘুঘনি দাদু

News Desk