১৯৯৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত যশ চোপড়ার ছবি ‘ডর’ এ দেখা গিয়েছিল এক পাগল প্রেমিকের চরিত্রে অভিনয় করা শাহরুখ খানের কারণে কিভাবে নাস্তানাবুদ হতে হয়েছিল প্রেমী যুগল কে। কিন্তু কখনও কখনও বাস্তব জীবনেও এমনটা হয় যেখানে এমন রিল লাইফ ভিলেনের মুখোমুখি হতে হয়। এমনই কিছু ঘটেছে বিহারের পাটনার নিকটবর্তী দানাপুরের এক প্রেমিক যুগলের সঙ্গে, যাদের বাস্তব জীবনে এমনই এক ‘শাহরুখ খান’ এসেছিলেন, যার কারণে পুলিশের নিরাপত্তায় প্রেমিক প্রেমিকা কে বিয়ে করতে হয়।
দানাপুরের থানা পরিষদ এলাকায় শিব মন্দিরে উপস্থিত থেকে প্রেমিক যুগলের বিয়ে সম্পন্ন করিয়েছে পুলিশ। পুলিশের মতে, প্রেমিক যুগলের মধ্যে তৃতীয় এক জেদি যুবক উপস্থিত ছিল যে মেয়েটিকে ভীষণভাবে ভালোবাসে দাবি করেছিল। যদিও তার প্রেমের ঘটনাটি একতরফা ছিল কিন্তু সে যেনতেন প্রকারে ওই মেয়েটিকে বিয়ে করার জন্য পাগল ছিল।
যুবকটি প্রথমে মেয়েটির পরিবারের সদস্যদের হত্যার হুমকি দেন। শুধু তাই নয়, মেয়ের পরিবারকে হয়রানি করার জন্য ওই প্রেমিক ১০০ নম্বর ডায়াল করে ভুলভাল মদের তথ্য দিত এবং বলত মেয়েটির বাড়িতে অবৈধ মদ পড়ে আছে।
মেয়েটি দানাপুরের পিএসএইচ এলাকার বাসিন্দা। সাত বছর ধরে একটি ছেলের সঙ্গে প্রেম চলছিল মেয়েটির। কিন্তু দুজনেই বিয়ে করতে পারেননি। এর পিছনে কারণ ছিল এক পাগল প্রেমিক যে সবসময় মেয়েটিকে উত্ত্যক্ত করত। উপায় না পেয়ে বিষয়টি নিয়ে পুলিশের সহায়তা চায় প্রেমিক যুগল। এরপর ফুলওয়ারীর এসএইচও রফিকুল রহমান দুজনকেই থানায় ডেকে নিয়ে, পুলিশের নিরাপত্তায় দুজনের বিয়ে হয়। প্রাক্তন ওয়ার্ড কাউন্সিলর কোলেশ্বরী দেবীর নেতৃত্বে পুলিশের নিরাপত্তায় দুই প্রেমিকের বিয়ে হয়।
অন্যদিকে পাগল প্রেমিক প্রেমিকাদের হুমকি দিচ্ছিল যে, বিয়ে করলে দুজনকে ছেড়ে দেবেন না, প্রতিশোধ নেবেন। তিনি তাদের দুজনকে বিয়ে করতে কিছুতেই দেবেন না। হুমকিতে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে প্রেমিক যুগল। কিন্তু পুলিশের সহায়তা পেয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে বিয়ে সেরে ফেলেন দুজনই। একই সঙ্গে মামলা রুজু করে পাগল প্রেমিকের খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ। বিয়ের পর প্রেমিক যুগলকে পুলিশ আশ্বস্ত করেছে যে অভিযুক্ত কে দ্রুত গ্রেফতার করা হবে।