প্রায় একমাস ধরে খোঁজ মিলছিল না বৃদ্ধার। অবশেষে নিজ বাড়িতেই মিলল তার মৃতদেহ। বয়স্ক এক মহিলার রহস্যমৃত্যু ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল রায়দীঘিতে। জানা গিয়েছে ওই মহিলার নাম লক্ষী মিদ্যা।
কাজের কারণে বাড়িতে থাকেন না ওই মহিলার তিন ছেলে। রায়দিঘির দিঘীরপাড় এলাকায় মেনারবাড়ি অঞ্চলে নিজের মেয়ের বাড়িতে একাই বাস করতেন ওই বৃদ্ধা। মাঝে মধ্যে অবশ্য ভাইয়ের বাড়ি গিয়ে কিছুদিন কাটিয়ে আসতেন। পরিবার ও পুলিশ সূত্রে এমনটাই জানা গেছে। এরপরে হঠাৎই বেশ কিছুদিন কোনো খবর পাওয়া যায় না ওই মহিলার। প্রায় এক মাস অতিবাহিত হলেও বাড়ির লোকজন ভাবে নিজের ভাইয়ের বাড়িতেই আছেন তিনি।
পরিবারের তরফে শুরুতে মনে করা হয় যে নিজের ভাইয়ের বাড়িতেই রয়েছেন তিনি। পরে ওই বৃদ্ধার ছেলে মামাবাড়িতে ফোন করে খবর নিলে জানতে পারেন যে সেখানে নেই ওই মহিলা। তারপরেই টনক নড়ে বাড়ির লোকের। বৃদ্ধার খোঁজে তোলপাড় হয় সারা এলাকা। আর তখনই উদঘাটন হয় রহস্যের। আর কোথাও না বাড়ির রান্না ঘরেই খুঁজে পাওয়া যায় লক্ষ্মী মিদ্যার মৃতদেহ। তার মৃতদেহ বিকৃত হতে খবর যায় পুলিশে। তারা এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। জানা গিয়েছে পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে এই মৃত্যুর কারণ তদন্ত করে দেখছে।
এদিকে কিছুদিন আগে উত্তর ২৪ পরগনার ইছাপুরে এক একাকী বৃদ্ধা কে খুন করা হয়। সেই বৃদ্ধাও বাড়িতে একাকী থাকতেন। কে বা কারা এই কাজ করেছে সেই তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে শিউরে দেওয়ার মতন তথ্য। পুলিশ জানতে পারে ইছাপুরের লেলিন নগরের বাসিন্দা এক পূর্ব পরিচিত ব্যক্তি তাকে খুন করে টাকা নিয়ে বিবাদের কারণে। সেই ব্যক্তির একটি পা কাটা গেছিল। ওই বৃদ্ধা তাঁকে নকল পা লাগাতে ১৫ হাজার টাকা সাহায্য করবে বলে জানিয়েছিল। সেই টাকা না দিলে বৃদ্ধা কে নৃশংস ভাবে খুন করে পেশায় ভিখারী ওই ব্যক্তি। জানা গিয়েছে প্রথমে তাঁকে শাড়ির ফাঁস দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করেন। তার পর একেবারে মৃত্যু নিশ্চিত করতে ফলের ছুরি দিয়ে গলার নলি কেটে দেন। বৃদ্ধার দেহ আবিষ্কার করে প্রতিবেশীরা। তারাই পুলিশে জানান।