ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে পরিচয় হত তরুণ তরুনীর। তারপর ডেকে নিয়ে ফাঁদে ফেলত তরুণী। এইভাবে এক দুজন নয় মোট ১৬ জন যুবকের সর্বস্ব হরণ করেছিল তরুণী। তরুণীর কান্ড সামনে আসতে হতবাক সকলে।
ঘটনাটা কি? জানা গেছে পুনে নিবাসী এক সাতাশ বছর বয়সী মেয়ে ছিল যে আগে একটি ভালো কোম্পানিতে চাকরি করতো। কিন্তু দু’বছর আগে হঠাৎ সবকিছু পাল্টে যায়। করোনা মহামারী চলাকালীন চাকরি হারানোর পর তিনি যা করতে শুরু করেছিলেন তার কারণে তাকে শেষ অবধি জেলে যেতে হয়েছিল।
মহারাষ্ট্র টাইমসের সূত্র অনুযায়ী, এই মেয়েটি একটি ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে এই যাবৎ মোট ১৬ জন যুবককে প্রেমের ফাঁদে ফেলেছে। এর মধ্যে এক যুবক পুলিশের কাছে অভিযোগ জানায়। চেন্নাইয়ের বাসিন্দা আশিস কুমার গত সপ্তাহে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন যে অনলাইনে একটি ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে মেয়েটির সাথে প্রথমে তার পরিচয় হয়। এরপর দুজনের মধ্যে কথাবার্তা হতে থাকে এবং তা আস্তে আস্তে একটু ঘনিষ্ঠতার রূপ নেয়। তারপর ওই ওই যুবতী আশিস কে পুনে ডেকে পাঠান।
নেশাজাত দ্রব্য মিশিয়ে পান করান…
অভিযোগে আশিস জানান, একটি হোটেলে গিয়ে আশিস কুমারকে কোল্ড ড্রিংক দেন ওই তরুণী। এতে নেশাজনক কিছু ছিল। এরপর তার জ্ঞান হারানোর সুযোগে তার শরীর থেকে আংটি, চেন আর পকেটে থেকে নগদ টাকা লুট করা হয়। তার অভিযোগ তদন্তে নেমে ওই তরুণীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনতাই:
পিম্পরি চিঞ্চওয়াড় শহরের কমিশনার শ্রী কৃষ্ণ প্রকাশ বলেছেন যে গ্রেফতারকৃত মহিলা অপরাধী আগে ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে যুবকদের সাথে পরিচয় করতো, তাদের কাছে আসত। এরপর তাদের সাথে দেখা করে, বা কখনো তাদের বাড়ি গিয়ে খাবার ও পানীয়তে নেশা জনক ওষুধ মেশাতেন। তারপর সে মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি করে চলে যেত।
পুলিশ প্রথমে এই মেয়েটিকে ধরে। তারপর খোঁজ নিল কিভাবে সে এই কাজ করে। জানা গেছে এখনও পর্যন্ত ১৬জন যুবককে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ছিনতাই করেছে অভিযুক্ত তরুণী। চারজন এর মধ্যে এই পর্যন্ত অভিযোগও করেছেন। এখনও পর্যন্ত, পুলিশ এই মহিলার কাছ থেকে সোনার অলঙ্কার এবং মূল্যবান জিনিসপত্র সহ প্রায় ১৫ লাখ টাকার উপরে চুরির মাল উদ্ধার করেছে। বর্তমানে তদন্ত চলছে।