সম্পত্তি আর টাকা পয়সার বিবাদ অনেক পরিবারেই থাকে। তাই বলে জমিজমা সংক্রান্ত বিবাদের কারণে এক ভয়ানক অভিযোগ উঠলো এক নাবালিকার মামীর বিরুদ্ধে, ওই নাবালিকার মামী তার গায়ে গরম ভাতের ফ্যান ঢেলে দিয়েছে বলে অভিযোগ। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হারোয়ার কাকুরিয়া গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটেছে। ওই অভিযুক্ত মহিলাকে ইতিমধ্যেই পুলিশ গ্রেফতার করেছে আর আদালতে পেশ করেছে। আদালত থেকে ওই মহিলাকে ১৪ দিন জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে।
আক্রান্ত ওই নাবালিকা বছর ১১এর পাপিয়া খাতুন। সে তার মামাবাড়িতে থাকতো বাবা-মায়ের সাথেই। জানা গিয়েছে পাপিয়ার মামার সাথে পাপিয়ার বাবার জমিজমা সংক্রান্ত ঝামেলা চলছিল। আর এই জমিজমা সংক্রান্ত বিবাদের জেরেই তার মামীর সব আক্রোশ এসে পরে বাচ্চা মেয়ে পাপিয়ার উপরেই। যে অভিযোগ হয়েছে তা থেকে জানা গিয়েছে , যে জমিজমা সংক্রান্ত অশান্তির কারণেই রবিবার রাতে বছর এগারোর নাবালিকা পাপিয়ার গায়ে ভাতের ফ্যান ঢেলে দেয় মামী। গরম ফ্যান গায়ে ঢেলে দেওয়ার কারণে বাচ্চা মেয়ে পাপিয়ার গায়ের অনেক অংশ পুড়ে যায়। পুড়ে যাওয়ার তীব্র যন্ত্রনায় সে ছটফট
করতে থাকে।
তার অসহ্য যন্ত্রণার কাতর চিৎকারে এই মর্মান্তিক ঘটনাটি পাড়া প্রতিবেশী জানতে পেরে যায়। আর এই ঘটনা জানতেই প্রতিবেশীরা ছুটে আসে পাপিয়া খাতুনের মামা বাড়িতে। আর সেখানকার পাড়া প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় প্রথমে হাড়োয়া গ্রামীণ হাসপাতালে পাপিয়াকে নিয়ে যায় বাবা-মা। কিন্তু সেখানে যখন পাপিয়ার অবস্থার আরও অবনতি হওয়ায় তাকে তখন হারোয়া গ্রামীণ হাসপাতাল থেকে স্থানান্তরিত করে কলকাতার হাসপাতালে পাঠানো হয়। বর্তমানে নাবালিকা পাপিয়া খাতুনের চিকিৎসা চলছে কলকাতাতেই। এই ভয়ানক ঘটনায় রীতিমতো অবাক এলাকার মানুষ। এই ঘটনার পরই পুলিশ গ্রেপ্তার করে পাপিয়া খাতুনের মামী মামণি বিবিকে। আদালতের নির্দেশে এই মর্মান্তিক কারণে মামনি বিবির ১৪দিনের জেল হেফাজত হয়।