মাতৃত্ব খুব সহজ হয় না! এমনটা বলে থাকেন বহু মায়েরা৷ জীবনে সন্তানের জন্য মায়ের অবদান সর্বাধিক। সেই মাতৃত্বের জার্নিতেও প্রতি পদক্ষেপে আসে চ্যালেঞ্জ। এবং এই চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে উঠতে একজন মা কে করতে হয় অনেক অসাধ্য সাধন। তাই প্রচলিত প্রবাদ, মা হওয়া কি মুখের কথা! এবং এটা যে শুধুই একটি প্রবাদ নয়, তা অক্ষরে অক্ষরে মনে করিয়ে দিলেন অভিনেত্রী সমীরা রেড্ডি (Sameera Reddy)৷ এর আগেও তিনি post-partum depression বা সন্তান প্রসবের পরবর্তী কলে মানসিক অবসাদ নিয়ে বিভিন্ন জায়গাতে বক্তব্য রেখেছেন। ৯ই মে মাদার্স ডে (Mother’s Day) তে আবারও সেই কথা বললেন অভিনেত্রী সমীরা রেড্ডি৷
বহু অভিনেত্রীই মাতৃত্বের কথা সোশ্যাল মিডিয়াতে বলেন, মাতৃত্ব নিয়ে নিজেদের অভিজ্ঞতার কথা বহু প্রতিবেদনে শেয়ারও করেন৷ তবে প্রসবের পরবর্তী মানসিক অবসাদের কথা সমীরা ছাড়া এমন সামনা সামনি খুব কমই বলেছেন অন্যান্য অভিনেত্রীরা৷ এখন দুই সন্তানের মা সমীরা৷ প্রথম সন্তানকে গর্ভে ধারণ করার সময়ে অভিনেত্রীর ওজন ১০৫ কেজি হয়ে যায়৷ যিনি একসময় রুপোলি পর্দায় নিজের গ্ল্যামার আর ব্যাক্তিত্ব দিয়ে দর্শকদের মুগ্ধ করেছেন, সেই সমীরার ওজন নাকি ১০৫ কেজি! মাতৃত্বের ফলে এই স্বাভাবিক ওজন বৃদ্ধি মেনে নিতে পারেননি সমীরা৷ এরই সঙ্গে তাঁর চুল পাতলা হয়ে যাওয়ার আরো ভেঙ্গে পড়েন৷ মাতৃত্ব নিয়ে খুশি হওয়ার জায়গায় নিজের অবস্থা দেখে আঁতকে ওঠেন সমীরা৷ চূড়ান্ত অবসাদে ডুবে যান৷
সামিরার সন্তানও স্বাস্থ্যবান ও সুস্থ জন্ম নেই৷ কিন্তু এই খুশির মুহূর্তেও কিছুতেই নিজেকেই হতাশা থেকে মুক্ত করতে পারছিলেন না। তবে সমীরা জানিয়েছেন তাঁর হাসব্যান্ড অক্ষয় ভারদে তার সাথে সব সময় ছিলেন ৷ কিন্তু তাও সমীরা নিজেকে ফ্রি করতে পারছিলেন না৷ বিনোদন জগৎ থেকে এমনকী সোশ্যাল মিডিয়া থেকেও নিজেকে সরিয়ে নেন তিনি৷ তবে আস্তে আস্তে নিজের মধ্যে চেঞ্জ আনার চেষ্টা শুরু করেন তিনি৷ নিজের প্রতি যত্ন নিতে শুরু করেন৷ দু’বছর পর তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় ফিরে আসেন৷ এরপর দ্বিতীয় বারের জন্যে তিনি সন্তানসম্ভবা হন সামীরা৷ তবে এবার আর নিজের মধ্যে আটকে না রেখে , সকলের সঙ্গে নিজের মনের কথা ভাগ করে নিতে শুরু করেন অভিনেত্রী। শুধু তাই নয় প্রেগন্যান্ট অবস্থায় ক্যামেরার সামনে আসেন তিনি। বিকিনি পরে একটি ফটো শুটও করেন।
