তৃতীয় বারের জন্য সরকার গড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের নতুন সরকারের মন্ত্রিত্বের তালিকায় একভাবে দাপট থাকল কলকাতার জয়ী বিধায়ক দের। ২০২১ এর বিধানসভা ভোটে কলকাতা জেলার যে ১১ জন বিধায়ক জয় লাভ করেছেন, তাঁদের মধ্যে ৭ জনই পূর্ণমন্ত্রীত্বের মর্যাদা । অথচ দুর্দান্ত সাফল্য এনে দিলেও জেলার ভাগ্য সেই খুলল না। একনজরে দেখে নিন তৃণমূলের জেলাভিত্তিক আসন এবং কতজন মন্ত্রী পেল সেই জেলাগুলি।
কলকাতার ১১ টির মধ্যে ১১ টি আসনই পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর সেই জেলা থেকেই সাতজন পূর্ণমন্ত্রী করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মন্ত্রিত্বে অনেক বদল রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়াও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বাস্থ্য, স্বরাষ্ট্র ও পার্বত্য বিষয়ক, সংস্কৃতি দফতরের দায়িত্বে রয়েছেন। এর পাশাপাশি ভূমি ও ভূমি সংস্কার, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন, উদ্বাস্তু উন্নয়ন দফতরও রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতেই। রাজ্যে সংখ্যালঘু উন্নয়ন এবং মাদ্রাসা শিক্ষা দফতর এর দায়িত্ত্ব পেয়েছেন গোলাম রব্বানির। ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে কোনো কেন্দ্র থেকে প্রার্থী না হলেও আবারও অমিত মিত্রর হাতেই থাকছে । এর আগেও প্রথম বার ও দ্বিতীয় বার তৃনমূল সরকারের শাসন কালেও মমতা বন্দোপাধ্যায় অমিত মিত্রের হাতেই অর্থ দপ্তরের দায়িত্ব তুলে দিয়েছিলেন।
ব্রাত্য বসু ফের স্কুল ও উচ্চ শিক্ষা দফতরের দায়িত্ব পেলেন। পার্থ চ্যাটার্জি পেলেন শিল্প ও বাণিজ্য দফতর। এর পাশাপাশি তথ্য প্রযুক্তি এবং পরিষদীয় দফতর থাকছে পার্থর হাতে। একটি বড় বদল খাদ্য দফতরে। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের থেকে খাদ্য দফতর গেল রথিন ঘোষের দায়িত্বে। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক পেলেন বন ও অচিরাচরিত শক্তি দফতর। পুর-নগরোন্নয়ন মন্ত্রক থেকে সরিয়ে ফিরহাদ হাকিম কে দেওয়া হয়েছে পরিবহণ ও আবাসন দফতর। পুর-নগরোন্নয়ন দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী হলেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
নতুন সরকারে মন্ত্রিত্ব পেয়েছেন কিছু নতুন মুখও। স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী অখিল গিরি মৎস্য দফতরের দায়িত্ত্ব। রত্না দে নাগকে পেয়েছেন পরিবেশ দফতর। হুমায়ুন কবীর কারিগরি শিক্ষা মন্ত্রকের দায়িত্ত্ব পেয়েছেন। কেশপুরের বিধায়ক শিউলি সাহা হচ্ছেন পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী।