করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে আছড়ে পড়েছে ভারতে। রোজ নতুন নতুন সংক্রমনের রেকর্ড গড়ছে দেশ। মৃত্যু মিছিল অব্যাহত। দেশ জুড়ে হাহাকার পড়েছে অক্সিজেনের। সারা বিশ্বে যত সংক্রমণ হচ্ছে প্রতিদিন তার অর্ধেকই হচ্ছে ভারতে। ভারতের এই দুর্দিনে পাশে দাঁড়িয়েছে বহু দেশ। কবে কমবে সংক্রমন এই নিয়ে শঙ্কিত গোটা দেশ। অক্সিজেন, ভেন্টিলেটর ইত্যাদি নানা জিনিস পাঠিয়ে সহায়তা করছেন তারা।
এর মধ্যেই কিছুটা সস্তির খবর। পর পর চার দিন আক্রান্তের সংখ্যা ৪ লক্ষ পার করার পর গতকাল প্রথমবার ৪ লক্ষ্যের নিচে নামলো নতুন করে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা।
বিশেষজ্ঞদের একাংশের অনুমান ছিল মে মাসের ৪-৮ তারিখে প্রতিদিনের নিরিখে করোনা সংক্রমণ তার সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছবে। এবার সেই অনুমান সত্যি বলেই প্রমাণিত হয় কিনা, সেদিকেই তাকিয়ে সকল দেশবাসী।
গত ১ দিনে ভারতে নতুন করে করোনা (Covid-19) আক্রান্ত হয়েছেন ৩,৬৬,১৬১ জন। সংক্রমণ টানা ৪ দিন ৪ লক্ষেরও সীমা পার করার পর এই প্রথম কিছুটা কমল আক্রান্তের পরিসংখ্যান। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৩,৭৪৭ জনের।
এই দিনের সংক্রমনের পর ভারতে বর্তমান অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ৩৭.৪ লক্ষ। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়েছেন ৩,৫৩,৮১৮ জনেরও কিছু অধিক মানুষ। কিন্তু নতুন করে করোনা সংক্রমণ এত দ্রুত হারে বাড়ছে যে সুস্থতার হারে বিশেষ পরিবর্তন নজরে আসছে না। পশ্চিমবঙ্গেও পিক ছুঁয়েছে করোনা সংক্রমণ। গত ১ দিনে রাজ্যে নতুন করে আক্রান্ত ১৯,৪৪১ জন। প্রাণ হারিয়েছেন ১২৪ জন রুগী।
চলতি মে মাসের ৪-৮ তারিখের মধ্যে পিকে পৌঁছবে করোনা সংক্রমণ। এমনটাই মনে করেছিলেন আইআইটির গবেষকরা। এই সময়ের পর থেকেই দ্রুত সংক্রমণ কমার আশ্বাস বাণী শুনিয়েছিলেন তাঁরা। যদিও করোনা সংক্রমণের দ্রুত হারে বৃদ্ধি বা হ্রাস পাওয়ার হার কড়া লকডাউন, সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে চলার সচেতনতা, মাস্ক পড়ার অভ্যাস, সাবান স্যানিটাইজার এর সঠিক ব্যাবহার, দেশ ব্যাপী দ্রুত ভ্যাকসিনেশন ইত্যাদি অনেক শর্তের উপর নির্ভর করে বলেও জানিয়েছেন গবেষকরা।