মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রে প্রেমে পড়ে সব ধরনের সীমা ছাড়িয়ে যাওয়ার একটি অভিনব ঘটনা সামনে এসেছে। এক যুবকের প্রতি সীমাহীন প্রেম এক তরুণীকে জেলের হাওয়া খেতে বাধ্য করল। প্রেমিকের সাথে বিয়ে করতে মেয়েটি এমন ফন্দি আঁটলো যেটা সামনে আসতে সবাই রীতিমত হতবাক।
এই ঘটনাটি ঘটেছে যে মহারাষ্ট্রে। সেখানকার বাসিন্দা ২২ বছর বয়সী এক তরুণী সন্মতি ক্ষিপ্রে গোয়ালিয়রের এক ব্যাঙ্ক কর্মীর প্রেমে পড়েছিলেন। দুজনেই দুজনকে বিয়ে করতে চেয়েছিল, কিন্তু ছেলের পরিবারের দাবী ছিল তাদের ছেলের বউয়ের সরকারি চাকরি থাকতে হবে। এমতাবস্থায় সন্মতি ক্ষিপ্রে নামক ওই তরুণী বিএসএফ একাডেমি তেকানপুরে (গোয়ালিয়র) সহকারী কমান্ড্যান্টের ভুয়া যোগদানপত্র তৈরি করলেও সে ধরা পড়ে যায়। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের মুখে সে জানায় যে সে তার সত্যিকারের ভালোবাসতো ওই ছেলেটিকে। তাই তাঁকে বিয়ে করতে সরকারি চাকরি না থাকায় জাল জয়েনিং লেটার বানিয়ে ভেবেছিলেন একবার বিয়ে হয়ে গেলে সবাইকে সত্যিটা বলবেন।
জানা গেছে মহারাষ্ট্র এর কোলাপুরের সন্মতি ২১শে ফেব্রুয়ারি একটি চিঠি নিয়ে সহকারী কমান্ড্যান্টের প্রশিক্ষণ নিতে বিএসএফ একাডেমি তেকানপুর (গোয়ালিয়র) পৌঁছয়। সেখানে যোগদান পত্র জমা দিলে প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা তাকে অপেক্ষা করতে বলে তার আসন ছেড়ে উঠে যান। আসলে সেই চিঠিতে বিএসএফের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল ডি কে উপাধ্যায়ের স্বাক্ষর ছিল, অথচ তিনি ২০১২ সালেই অবসর গ্রহণ করেছিলেন।
এটা দেখার পর বিএসএফ কর্মকর্তা পুলিশকে ফোন করেন। পুলিশ পৌঁছলে মেয়েটি পুলিশকে জানায়, কোলাপুরের এক ব্যক্তি তাকে আড়াই তোলা সোনা আর ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে জাল জয়েনিং লেটার তৈরী করে দিয়েছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে মেয়েটিকে নিয়ে কোলাপুরে পৌঁছেয় পুলিশ। সেখানে তিনি কোন ব্যক্তি তাঁকে ভুয়ো জয়েনিং লেটার তৈরী করে দিয়েছেন তার সম্পর্কে কিছুই বলতে পারেননি। তখন তাকে আবারও কড়া ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তখন তরুণী জানান, এই চিঠি তিনি নিজেই তৈরি করেছেন।
পুলিশ মে সন্মতি জানান ইন্টারনেট থেকে বিএসএফ কর্তৃক জারি করা বাছাই তালিকা বের করে। সেটি এডিট করে নিজের নাম যোগ করে। এরপর ইন্টারনেট থেকে জয়েনিং লেটারটি কপি করে এডিট সফটওয়্যারে ফাইলটি সেভ করে নিজের নাম ও ছবি দিয়ে দেয়। তার পরিকল্পনা ছিল বিয়ের পর চাকরি করবে না বলে ওই চিঠি ছিঁড়ে ফেলে দেবে। কিন্তু তার আগেই পুলিশের হাতে গ্রেফতার হতে হল ওই যুবতীকে।