টাকা পয়সা সংসার চালাতে প্রয়োজনীয়। অনেক সময়ই টাকার অভাবে সংসারের নানা অশান্তি দেখা যায়। আবার অনেক সময় খুব কম টাকাতেও শান্তি মতন দিন কাটাচ্ছেন এমন সংসার বা দাম্পত্য এর উদাহরণও কিছু কম নয়। কিন্তু স্বামীর আয় যথেষ্ট নয় বলে স্ত্রী স্বামীকে খুন করেছেন এমন ভয়াবহ উদাহরণ খুব একটা দেখা যায়না বলা যায়। সম্প্রতি এমনই এক ঘটনা ঘটেছে।
রাজস্থানের বারমের জেলার কোতোয়ালি থানা এলাকায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় স্বামীকে খুন করেছেন এক মহিলা। বুধবার পুলিশ এ তথ্য জানিয়েছে। কোতোয়ালির এসএইচও উগমরাজ সোনি জানিয়েছেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, কম আয়ের কারণে অভিযুক্ত মহিলা মঞ্জু তার স্বামীর ওপর ভীষণ অসন্তুষ্ট ছিল।
সেই অসন্তুষ্টি থেকেই মহিলা তার ৩৪ বছর বয়সী স্বামীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ। বলা হচ্ছে, স্বামীর স্বল্প আয়ে অসন্তুষ্ট ছিলেন ওই নারী। বুধবার পুলিশ এ তথ্য জানিয়ে মহিলার বিরূদ্ধে মামলা দায়ের করেছে এবং মহিলাকে হেফাজতে নিয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। ত্রিশ বছর বয়সী ওই মহিলার স্বামী অনিলের বয়স ৩৪ বছর। তিনি পেশায় একজন শ্রমিক ছিলেন। জানা গেছে যে এই স্বামী স্ত্রী অনিল এবং মঞ্জু একত্রে মদ্যপান করত এবং নিজেদের মধ্যে প্রায়শঃই মারামারি ও অশান্তি করত। কম রোজগার হওয়ায় মঞ্জু তার স্বামীর প্রতি অসন্তুষ্ট ছিলেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এই নিয়ে মদ্যপ অবস্থায় অশান্তি চরমে ওঠে। সেই বিবাদ চলাকালীনই মঞ্জু অনিলকে গলা টিপে হত্যা করে।
বুধবার ময়নাতদন্ত শেষে অনিলের মৃতদেহ তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তারা আরো জানান, অনিলের মায়ের তরফে পুত্রবধূ মঞ্জুর বিরুদ্ধে হত্যার মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাকে আপাতত হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
অপরদিকে রাজস্থানের পালি জেলার সোজাত রোড থানা এলাকায় এক বৃদ্ধ মহিলাকে গলা কেটে হত্যার ঘটনা সামনে এসেছে। এ বিষয়ে পুলিশ কর্মকর্তা উর্জারাম জানান, মঙ্গলবার সকালে সিনলা গ্রামে একা বসবাসকারী বৃদ্ধা কুনকি (৭০) এর লাশ ঝোপের মধ্যে পড়ে থাকতে দেখা যায়।
তিনি জানান, নিহতকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। আরো জানান, মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, নিহত ওই কুঁড়েঘরে একা থাকতেন এবং তার দুই ছেলে আশেপাশে আলাদা থাকতেন। তিনি বলেন, অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং তদন্ত চলছে।