এমন এক ঘটনা ঘটেছে যা শুনলে যে কেউ আকাশ থেকে পড়বে। এক যুবক বিয়ে করেছেন তার মায়ের নিজের বোন কে অর্থাৎ তার আপন মাসিকে! এবার এই ঘটনা শুনলে অদ্ভুত তো লাগাটাই স্বাভাবিক, কিন্তু এই হায়দ্রাবাদের এক বেসরকারি ফার্মে চাকুরীরত এই যুবক সবাইকে চমকে দিয়েছেন তাঁর আপন মাসির সঙ্গে প্রেমের বিয়ে করে। কিন্তু এই ব্যক্তি যখন গ্রামে ফিরে আসেন নিজেকে নিজের মায়ের জামাইবাবু আর বাবার ভাইরা ভাই পরিচয় নিয়ে, সেই সময় সেখানকার বাসিন্দারা তার এই বিয়েকে অসামাজিক মনে করে আপত্তি জানান। এমত অবস্থায় ওই যুগল পুলিশের দ্বারস্থ হন।
আমাদের ভারতের সমাজ ব্যবস্থা যেমন সেখানে নিজের মাসিকে মায়ের সমান মনে করা হয়, আর এই যুবক তার মাসিকেই বিয়ে করে বসেছেন। এবার কেউ তার নিজের মাসির প্রেমে পরে বিয়ে পর্যন্ত করে ফেলে , তাহলে যে কি করা উচিত তা কি করে বলবে? অদ্ভুত ব্যাপার এটা! ঝাড়খন্ড রাজ্যের চাতরা এলাকায় ঠিক এমনই এক ঘটনা ঘটেছে, যেখানে তাঁর মাসির সঙ্গে ‘প্রেম’ করে বসেছেন এক যুবক। এখানেই থেমে থাকেননি তিনি, এমনকি বিয়ে করে শশুরবাড়ি পর্যন্ত গেছেন।
সোনু রানা চাতরার রাকসি গ্রামের বাসিন্দা নিজের মাসিকে জীবনসঙ্গী বানিয়েছেন। হেরুয়া নদীর তীরে হায়দরাবাদের একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে কর্মরত সোনু শিব মন্দিরে নিজের মাসির সঙ্গে প্রেমের বিয়ে করেছিলেন। মায়ের বোনকে বিয়ে করার খবর পেয়ে সোনুর পরিবারের সদস্যরা এবং গ্রামবাসীরা প্রথমে সবাই হতবাক হয়ে যান।
ওই গ্রামের বাসিন্দারা এই বিয়েতে তীব্র আপত্তি জানালে সদ্য বিবাহিত দম্পতিকে বাড়ি থেকে পালিয়ে যেতে হয়। এখন দু’জনেই সদর থানায় আশ্রয় নিয়েছেন পরিবারের সদস্য ও গ্রামবাসীর কাছ থেকে লুকিয়ে। যুবক ও যুবতী দু’জনেই প্রাপ্তবয়স্ক, তাই দু’জনের পরিবারকে পুলিশও ডেকে বুঝিয়ে দেন।
ছেলে ও মেয়ের পরিবারের সদস্যরা রাজি হচ্ছেন না মাসির সঙ্গে প্রেমের বিয়ের বিষয়ে থানায় যাওয়ার পরও। অন্য দিকে, একসঙ্গে থাকার বিষয়ে অনড় প্রেমিক দম্পতি।
পুলিশের সামনেই উভয়ের পরিবারের সদস্যরা এই বিয়েকে অসামাজিক বলে আখ্যায়িত করেন এবং স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করেন সম্পর্ককে। কোনও মতে পুলিশ পরিবারের সদস্যদের বুঝিয়ে দেন। এরপর মুচলেকা দিয়ে সবার উপস্থিতিতে প্রেমিক যুগলকে বাড়ি পাঠানো হয়।
থানা থেকে ছেলে বাড়ি কনেকে নিয়ে পৌঁছলে ওই ছেলেটির মা কান্নাকাটি জুড়ে দেন। কখনও তিনি তাঁর ছেলেকে কারও কাছে বোঝানোর জন্য মিনতি করছিলেন, আবার কখনও সম্পর্কের সীমাবদ্ধতা বুঝিয়ে দিচ্ছিলেন তিনি তাঁর ছেলে ও তাঁর বোনকে। গ্রামবাসীও অবাক এই অভিনব বিয়েতে। একে অসামাজিক সম্পর্ক বলে আখ্যা দিচ্ছেন সম্পর্কের বিভ্রান্তিতে আটকে পড়া গ্রামবাসীরা, অন্য দিকে একে অপরের সঙ্গে জীবন কাটানোর কথা বলছেন প্রেমিক-প্রেমিকারা!