দুই বছরের উপরে পৃথিবীর যত জীবন পাল্টে দিয়েছে করোনা মহামারী। সারা পৃথিবী জুড়ে কোটি কোটি মানুষ করোনাভাইরাস এ আক্রান্ত হয়েছে। জীবন হারিয়েছেন প্রচুর মানুষ। বার বার নতুন নতুন মিউটেশন ঘটিয়ে নতুন রূপে ফিরে এসেছে করোনা। এখনই করোনা ভাইরাস বিদায় নেবে এমন আশার বাণী শোনায়নি কোনো বিজ্ঞানী। কিন্তু তাই বলে তো আর স্বাভাবিক জনজীবন কে থামিয়ে রাখা যায় না। তাই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলেও আর দরকার নেই আইসোলেশন -এ থাকার। এমনই বিতর্কিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করল এই দেশ। দেশের নেতৃত্ব তরফে জানানো হলো করোনা ভাইরাস কে নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে ঠিকই, কিন্তু মাত্রাতিরিক্ত গুরুত্বও দেওয়া যাবে না করোনা সংক্রমণকে।
করোনা মহামারী নিয়ে নিজেদের নতুন নীতি জানিয়ে এমনই বিবৃতি দিল ফেলল ইংল্যান্ড। সে দেশের প্রশাসন জানিয়েছে, যে কোভিডের সঙ্গেই বসবাস করা ছাড়া উপায় নেই। তাকে সাথে নিয়ে চলতে হবে তাই আগামী সপ্তাহ থেকে আর করোনা সংক্রমনের কারণে আইসোলেশন থাকতে হবে না কাউকে। তেমনই জানিয়েছে বরিস জনসন সরকার।
যদিও ইংল্যান্ড সরকারের এই তথ্য মানতে নারাজ বেশিরভাগ স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবং বিজ্ঞানীরা। জনসনের “কোভিডের সাথে বসবাস” পরিকল্পনাটি বিপদের জন্ম দিতে চলেছে এবং এটি সেই দেশকে ভাইরাসের নতুন রূপের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলবে, এমনটাই মত তাদের। তাদের এই শিথিলতা ডেকে আনতে পারে করোনা ভাইরাসের কোনো মারাত্মক রূপান্তর কিন্তু সরকার স্পষ্ট জানিয়েছে যে ইংল্যান্ড অন্যান্য দেশের তুলনায় বিনামূল্যে করোনা টেস্টের অনেক বেশি ব্যবস্থা করেছিল এবং এখন খরচ কমানোর সময় এসেছে।
প্রসঙ্গত ব্রিটেনে করোনা সংক্রান্ত বেশ কিছু বিধিনিষেধ গত জানুয়ারিতেই শিথিল করা হয়েছিল। ২৭ জানুয়ারি সে দেশে মাস্ক পরা, বা বাড়ী থেকে কাজ আর বাধ্যতামূলক নয় বলে ঘোষণা করেছিল সরকার। এমনকী কোন পাবলিক প্লেস, জমায়েত, পাব, রেস্টুরেন্ট কিংবা নাইট ক্লাবে যেতে হলে করোনা ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট দেখানোরও কোনও প্রয়োজন নেই বলে ঘোষণা করা হয়। সামাজিক মেলামেশার উপর থেকে প্রায় সব বিধিনিষেধই তুলে দেওয়া হয়েছিল। তবে কেউ সেই দেশে কোভিড পজিটিভ হলে ৫ দিন আইসোলেশনে থাকতে হত। তারপর পঞ্চম ও ষষ্ঠ দিন র্যাপিড টেস্টের রিপোর্ট নেগেটিভ আসলে সে পুনরায় স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারত। কিন্তু, এখন থেকে সেই আইসলেশন্ও তুলে দিতে চলেছে ব্রিটেন সরকার।