ব্রিটেনের ৯৫ বছর বয়সী রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ করোনা পজিটিভ হয়েছেন। বাকিংহাম প্যালেস রোববার এ তথ্য জানিয়েছে। ব্রিটেনের রাজপ্রাসাদ নিজেদের বিবৃতিতে এক তথ্যে বলেছে যে কোভিড -১৯ এ সংক্রমনের পর রানী এলিজাবেথ এর ঠান্ডা লাগার মতো সাধারণ লক্ষণ প্রকাশ পেয়েছে। ৯৫ বছর বয়সী রানী বর্তমানে তার উইন্ডসর প্রাসাদে রয়েছেন এবং আগামী কয়েক দিনের জন্য শুধুমাত্র স্বাভাবিক কাজকর্ম করবেন। বাকিংহাম প্যালেস থেকে জানানো হয়েছে রানী চিকিৎসা সেবা গ্রহণ অব্যাহত রাখবেন এবং চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করবেন। তিনি সম্পূর্ণরূপে কোভিড-১৯-এর নির্দেশিকা অনুসরণ করবেন। ব্রিটেনের (Britain) রানীর করোনা আক্রান্ত হওয়ার খরব পেয়ে উদ্ধেগ প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। তিনি টুইটারে বার্তা দিয়ে তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন। তিনি বলেছেন তিনি দ্বিতীয় এলিজাবেথের সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করছেন। প্রসঙ্গত বর্তমানে, ইউনাইটেড কিংডমে সরকারের কোভিড নীতি অনুযায়ী, কেউ যদি করোনাভাইরাস পজিটিভ হন তাহলে তাকে ১০ দিনের জন্য নিজেকে নিভৃতবাস বা আইসোলেশনে রাখতে হবে।
ব্রিটিশ নির্দেশিকা অনুসারে, ষষ্ঠ এবং সপ্তম দিনে যদি কোনও কোভিড পজিটিভ রোগীর রিপোর্ট নেগেটিভ আসে তবেই তিনি কোয়ারেন্টাইন থেকে বেরিয়ে আসতে পারবেন। যদিও, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন রবিবার বলেছেন যে তিনি স্ব-বিচ্ছিন্নতার বা হোম আইসোলেশন এর এই নীতি তুলে দেওয়ার কথা বিবেচনা করছেন এবং টিকাকরণে আরও জোর দেওয়া হবে। তিনি এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন যে কোভিডের সাথে আমাদের স্বাভাবিকভাবে জীবনযাপন করতে শিখতে হবে।
রানীর ছেলে এবং তার উত্তরসূরি প্রিন্স চার্লস এবং তার স্ত্রী ক্যামিলা পার্কারও চলতি মাসের শুরুতে কোভিড পজিটিভ হয়েছিলেন বলে জানা গেছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, ব্রিটেনে প্রচুর সংখ্যক করোনার সংক্রমনের ঘটনা সাম্প্রতিক সময়ে সামনে এসেছে। ডেল্টা ভেরিয়েন্টের পর ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টও সেখানে মারাত্মক সংক্রমণ ছড়িয়েছিল। উচ্চ নিরাপত্তার বলয়ে থাকেন যারা তেমন লোকজনও এ থেকে বাদ পড়েননি। এমনকি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনও কোভিড পজিটিভ হয়েছিলেন।
এমনটাও বলা হচ্ছে যে ব্রিটিশ সরকার বিনামূল্যে করোনা পরীক্ষার সুবিধাও তুলে দিতে পারে। ব্রিটেনে, ১২ বছরের বেশি বয়সী জনসংখ্যার ৮৫ শতাংশেরই করোনা ভ্যাকসিন এর দুটি ডোজ পাওয়া হয়ে গিয়েছে। এমনকি জনসংখ্যার দুই-তৃতীয়াংশ ইতিমধ্যেই এর পরে একটি বুস্টার ডোজ পেয়েছে। ব্রিটেনে করোনায় এখন পর্যন্ত ১.৬ লাখের বেশি মৃত্যু হয়েছে। প্রসঙ্গত ইউরোপে দীর্ঘদিন ধরে জনসাধারণ ও শিল্প-কারখানার পক্ষ থেকে করোনা সম্পর্কিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার দাবি উঠে আসছে।