ভালো কিছু করার চেষ্টায় ভুল হয়ে গেলে খারাপ লাগে। তাও যখন সেই জগাখিচুড়ি অবস্থা এমন জায়গায় ঘটে যা লুকানো যায় না। প্রায়শই শোনা যায়, শরীরের কোনও অংশ মেরামত করতে, কেউ কসমেটিক সার্জারি করেছেন, আবার কেউ বোটক্সের আশ্রয় নিয়েছেন। কিন্তু প্রতিবারই এই চিকিৎসাগুলো কার্যকর প্রমাণিত হয় না। কখনও কখনও এর পরিণতি মারাত্মক ও হয়।
নেদারল্যান্ডে (Netherlands) বসবাসকারী নিকিতা কিম্বার্লির (Nikita Kimberly) সাথে এমন কিছু ঘটেছে, যা তিনি হয়তো কোনোদিনই ভুলতে পারবেন না। যখনই সে নিজের মুখ দেখে, সে সেই দিনটিকে অভিশাপ দেয় যেদিন সে তার মুখে বোটক্স থেরাপি করিয়েছিল। বোটক্সের পর তার মুখ কিছুটা অদ্ভুত ভাবে খারাপ আকৃতির হয়ে যায়। কেন অদ্ভুত বলা হচ্ছে? কেননা যতক্ষণ সে মুখ বন্ধ রাখবে ততক্ষণ সব ঠিক আছে। কিন্তু মুখ খোলার সাথে সাথেই তার মুখের অবয়ব খারাপ হয়ে যায়। তাই তিনি তার টিকটক অ্যাপের অনুসারীদের বোটক্সের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া (Side effects of botox) সম্পর্কে সতর্ক করেছেন।
নিকিতা জানিয়েছেন যে তিনি বোটক্সের আশ্রয় নিয়েছিলেন কারণ তার মুখের নীচের অংশে কিছু সমস্যা ছিল। চোয়ালটা শক্ত ছিল। তাই নিকিতা সেটা ঠিক করার উদ্দেশ্যে একটি বোটক্স চিকিৎসা করানোর কথা ভাবেন। কিন্তু এতে হিতে বিপরীত হল। তার হাসি ভয়ানক খারাপ হয়ে গেল (Nikita’s Laughter Got Worse After Botox)। যতক্ষণ সে চুপ থাকে, মুখটাও ঠিক থাকে, কিন্তু এখন সে কারো সাথে সরাসরি কথা বলতে পারে না। যখনই সে হাসে, জোরে কথা বলে বা অল্প জোরে কথা বলে, তার ঠোঁট এবং চিবুক বাঁকা হয়ে যায়। যার কারণে তার চেহারার সৌন্দর্য কিছুটা নেতিবাচক দেখাতে শুরু করে।
তার সাথে এমন বোটক্সজনিত দুর্ঘটনার পর, নিকিতা এখন সবাইকে বোটক্সের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে সতর্ক করে। তিনি কাউকে বোটক্স না করার পরামর্শ দিচ্ছেন। তিনি বলেছেন যে প্রতিবার অভিজ্ঞতা ভুল হবে এমন নয়, তবে ভুল হওয়ার পরে যে ফলাফল আসে তা আরও ভয়ঙ্কর হতে পারে, তাই নিজেকে এমন কোনও থেরাপিতে না ফেলাই ভাল। তার মতে, প্রয়োজন হলেও বোটক্সের চেয়ে ফিলার ইনজেকশনের চিকিৎসা চেষ্টা করা ভালো। এটি বোটক্স সার্জারির চেয়ে অনেক বেশি নিরাপদ।