একজন এইচআইভি পজিটিভ (HIV Positive) পুরুষ তার স্ত্রীর সাথে কনডম ছাড়াই যৌন সঙ্গমে লিপ্ত হয়েছিলেন। স্ত্রীর উপর প্রতিশোধ নিতেই অরক্ষিত যৌনতার পথ বাছেন স্বামী। বিষয়টি জানাজানি হতেই স্ত্রীর মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ার দশা হয়। চিকিৎসকের পরামর্শ মতন স্ত্রী নিজের এইচআইভি পরীক্ষা করিয়েছেন, তিনি আপাতত উৎকণ্ঠা নিয়ে পরীক্ষার রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছেন। এদিকে স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগও করেছেন ওই নারী। অভিযুক্তকে খুঁজছে পুলিশ। ঘটনাটি কর্ণাটকের। মহিলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করার পর, কর্ণাটক পুলিশ সেই এইচআইভি পজিটিভ পুরুষ এর, তার স্ত্রীর সাথে অরক্ষিত যৌন সঙ্গম (কনডম ছাড়া) করার অভিযোগে তল্লাশি শুরু করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি তার স্ত্রীর প্রতি প্রতিশোধ নিতেই এই কাজটি করেছিলেন, কেননা তার স্ত্রী তার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করতে চেয়েছিল। মহিলা এইচআইভি পজিটিভ স্বামীর থেকে ডিভোর্স চাইছিলেন যার কারণে ওই ব্যাক্তির তার স্ত্রীর উপর রাগ ছিল। পুলিশ বলেছে যে অভিযুক্ত এইচআইভিতে সংক্রামিত হলেও, স্ত্রী তার সাথে থাকতে রাজি হয়েছিলেন এবং ওই দম্পতি সর্বদা নিরাপদ যৌনতায় (কন্ডোম ব্যাবহার করে) লিপ্ত হতেন। মহিলার ছয় বছর ধরে নিয়মিত পরীক্ষা করতেন যাতে তিনিও সংক্রামিত না হন।
পুলিশ জানায়, এত কিছুর পরেও ওই ব্যক্তি তার স্ত্রী ছাড়া অন্য নারীদের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করতেন। মহিলা যখন জানতে পারলেন তাঁর স্বামী এক মহিলাকে বাড়িতে নিয়ে এসেছে, তখন সে তার থেকে আলাদা হয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এই সব চলাকালীন অভিযুক্ত তার স্ত্রীর সাথে দেখা করে। অতঃপর অজুহাত দেখিয়ে তাঁকে বন্ধুর বাড়িতে নিয়ে যায়। স্ত্রীকে মাদক সেবনে বাধ্য করেন এবং তারপর অনিরাপদ যৌন সম্পর্ক করেন। প্রটেকশন ছাড়া সেক্স করতে গিয়ে মহিলা ভীষণ ভয় পেয়ে যায়।
মহিলাটিকে এরপর এক মহিলা হেল্পলাইন এর কর্মীর পরামর্শ নেন। মহিলা সাহায্যের জন্য বাসনাগুড়ি মহিলা থানায় যোগাযোগ করেছেন। ২৮ বছর বয়সী ওই নারী ২০১৫ সালে অভিযুক্তকে বিয়ে করেছিলেন। এটি ছিল ওই ব্যক্তির দ্বিতীয় বিয়ে। বিয়ের পর সে জানতে পারে তার স্বামী অর্থাৎ অভিযুক্ত ব্যক্তি এইচআইভি পজিটিভ। পুলিশ বলেছে যে অভিযুক্ত কোনওভাবে তাকে তার সাথে থাকতে রাজি করাতে সক্ষম হয়েছিল এবং এই রোগের জন্য তার প্রথম স্ত্রীর উপর সমস্ত দোষ চাপিয়েছিল। এবং তারপর তার দ্বিতীয় স্ত্রীর সাথে অনিরাপদ যৌন মিলন করেন।