কোনও রকম অনুমতি না নিয়েই এই মহিলাদের নগ্ন ভিডিও প্রকাশ করছে এই ওয়েবসাইট আর লুটছে মুনাফা, ৩৪জন মহিলা পর্নহাবের বিরুদ্ধে মামলা করলেন।
শুধু এখানেই থেমে নেই, মানুষ পাচার, হ্যাকিং, পিছু নেওয়া, হুমকি, তোলাবাজি, অর্থ তছরুপের মতো অভিযোগ তোলা হয়েছে মূল সংস্থা মাইন্ডগিকের বিরুদ্ধে।
কিছু মহিলার পর্ন ভিডিয়ো অনুমতি ছাড়াই ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে তা থেকে মুনাফা করছে ‘পর্নহাব’। ধর্ষণ এবং শিশু যৌনতার ক্লিপিংও তার মধ্যে রয়েছে। পর্নহাব ওয়েবসাইটের মূল সংস্থা মাইন্ডগিকের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ এনে বৃহস্পতিবার ৩৪ জন অজ্ঞাতপরিচয় মহিলা ক্যালিফোর্নিয়ার আদালতে মামলা দায়ের করলেন। আদালতে তাঁরা জানিয়েছেন, তাঁদের নগ্ন ভিডিয়ো ওয়েবসাইটে পোস্ট করা হয়েছে অনুমতি ছাড়াই। তাঁদের মধ্যে অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ জন এবং যৌন অপরাধীদের দ্বারা নিগৃহীতা আরও ১৪ জন। ওই ৩৪ জন মহিলা আমেরিকা, ব্রিটেন, কানাডা, কলোম্বিয়া এবং তাইল্যান্ডে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছেন। তাঁরা নিজেদের নাম প্রকাশ করেননি নিরাপত্তা সংক্রান্ত কারণেই বলে জানিয়েছেন আদালতকে।
শুধু তাই নয়, মানুষ পাচার, হ্যাকিং, পিছু নেওয়া, হুমকি, তোলাবাজি, অর্থ তছরুপের মতো অভিযোগ তোলা হয়েছে মাইন্ডগিক সংস্থার বিরুদ্ধে। দায়ের হওয়া মামলায় বলা হয়েছে, ‘‘মানুষ পাচারের সঙ্গে যুক্ত সংস্থার মধ্যে এই মাইন্ডগিক হল অন্যতম। সম্ভবত শিশু পর্নগ্রাফির সবচেয়ে বড় ভান্ডার রয়েছে উত্তর আমেরিকায় এই সংস্থার হাতে, যা একেবারেই অনিয়ন্ত্রিত। এটা বিষয়ই নয় পর্নগ্রাফির, ধর্ষণ, শিশুদের যৌন হেনস্থার বিষয়, যা আইনের চোখে অপরাধ।’’
পর্নহাবের তরফে পাল্টা বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, হেনস্থার বিষয় অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখে সংস্থা। সংস্থার বিরুদ্ধে মহিলাদের অনুমতি না নেওয়ার প্রশ্নে যে অভিযোগ উঠেছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে যে অভিযোগ উঠেছে মহিলা পাচার নিয়ে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যে এবং ভিত্তিহীন।