ভাগ্য কখন যে কার কিভাবে পরিবর্তিত হয় সেটা কেউ বোধহয় আন্দাজও করতে পারে না। যেমন এই ডেলিভারী ম্যান। এক সন্ধ্যায় তরুণীর বাড়িতে খাবার পৌঁছে দিতে গিয়েই ভাগ্য বদলে গেল ডেলিভারি ম্যানের। জানুন পুরো কাহিনীটা।
সম্প্রতি একজন ৭১ বছর বয়সী ‘ডেলিভারি বয়’ ২১ বছর বয়সী এক তরুণীর বাড়িতে খাবার পৌঁছে দিতে যায়। ডেলিভারী দিতে আসা ব্যাক্তি বয়স্ক এবং শারীরিক অক্ষমতার জন্য খুব ধীরে ধীরে সিঁড়ি বেয়ে উঠছিলেন। যা দেখে তরুণী আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ে। সেই সময়ের ভিডিও ২১ বছর বয়সী সেই তরুণীর দরজায় লাগানো সিকিউরিটি ক্যামেরায় রেকর্ড হয়ে যায়। এরপরে মেয়েটি সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ৭১ বছর বয়সী বৃদ্ধ ডেলিভারি বয়ের ভিডিওটি শেয়ার করে। যা এখন ভাইরাল।
বিশেষ বিষয় হল ভিডিওটি দেখার পর প্রচুর মানুষ এই বৃদ্ধ ডেলিভারি বয়কে সাহায্য করার জন্য হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। তরুণী GoFundMe-এ তে এই বৃদ্ধের জন্য অর্থ সংগ্রহ করতে প্রচারও শুরু করেছে। যার মধ্যে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ৬০০০০ ডলার সাহায্য পৌঁছে গিয়েছে (Idaho woman, has raised almost $60,000 for 71-year-old DoorDash delivery)। মেয়েটির লক্ষ্য বৃদ্ধ ডেলিভারি বয়কে সাহায্য করার জন্য অন্তত ৭৫ হাজার ডলার একত্রিত করা।
‘ডেইলি মেইল’ এর প্রতিবেদন অনুসারে, ২১ বছর বয়সী অ্যানাবেল গ্রেস স্টিফেনস আমেরিকার আইডাহোতে থাকেন। গত সপ্তাহে তিনি ডোরড্যাশ ডেলিভারি থেকে কিছু খাবার অর্ডার করেছিলেন। যা নিয়ে এসেছিলেন ৭১ বছর বয়সী কেরি জুড। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, খাবার আনার সময় খুব কষ্ট করে ধীর গতিতে হাঁটছেন তিনি। বোঝাই যাচ্ছে বয়সের ভারে নুয়ে পড়েছেন তিনি।
অ্যানাবেল তার এই একই ভিডিও টিকটকে পোস্ট করেছেন। সেই সঙ্গে ক্যাপশনে লেখা ছিল, ‘এর চেয়ে মর্মস্পর্শী ভিডিও খুঁজে পেলাম না’। এর পরে, তিনি GoFundMe-এ এই বৃদ্ধের জন্য একটি ফান্ড কালেক্ট প্রোগ্রাম চালু করেন। পাশপাশি তরুণী এও জানান যে তিনি টিপ হিসাবে বৃদ্ধকে মাত্র ২২০০ টাকা দিয়েছেন, যখন তিনি ১৫০০ টাকায় খাবারের অর্ডার দিয়েছিলেন।
অ্যানাবেলের এই পদক্ষেপ নেট দুনিয়ায় প্রশংসিত হচ্ছে। অনেকেই বলেছেন, ওই ব্যক্তির এখন অবসর নেওয়া উচিত। সেই সঙ্গে আরও এক ব্যক্তি লিখেছেন, এখন তার বয়স কাজ করার নয়। একইসঙ্গে কয়েকজন জানিয়েছেন, এই ব্যক্তি নিজেকে ফিট রাখতে চান, তাই কাজ করছেন। একই সঙ্গে এক ব্যক্তি লিখেছেন, এটা দেখে দুঃখ হচ্ছে, আমাদের বয়স্কদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করা উচিত।