Dainik Sangbad – দৈনিক সংবাদ
Image default
ট্রেন্ডিং

পড়ালেখা বন্ধ করে মাত্র ৯ বছর বয়সে দেশ ছেড়েছেন! আজ সে দেশের একমাত্র পর্ন তারকা

কোনো গোঁড়া মুসলিম দেশ থেকে পর্নোগ্রাফির মত সিনেমা শিল্পে আসা অকল্পনীয়। বিশেষত দেশটার নাম যদি হয় আফগানিস্থান। কিন্তু ইয়াসমিনা আলীর সবচেয়ে বড় পরিচয় হলো তিনি আফগানিস্তানের একমাত্র পর্ন তারকা (Afghanistan porn star Yasmeena Ali)। সম্প্রতি একটি শোয়ে এসে তালেবান শাসনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ দিক তিনি তুলে ধরেছেন। যেখানে তিনি নারী শিক্ষা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি জানান, কীভাবে তিনি তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে লন্ডনে পৌঁছেছেন। সম্প্রতি, একটি পডকাস্ট সাক্ষাত্কারে, তিনি তার জীবনের সাথে সম্পর্কিত অনেক দিক নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করেছেন। ইয়াসমিনা আলী সেই শোতে নিজেকে একজন যৌনকর্মী হিসেবে বর্ণিত করেছেন।

ডেইলি স্টারের মতে, ইয়াসমিনা আলী (Yasmeena Ali) সম্প্রতি প্রাপ্তবয়স্ক পর্নগ্রাফি দুনিয়ায় প্রবেশ করার সময় তালেবান এবং তার ধর্মীয় বিশ্বাস কেমন ভূমিকা রেখেছিল সেই সম্পর্কে খোলাখুলি কথা বলেছেন। ইয়াসমিনা খোলাখুলিভাবে তালেবানের নিষ্ঠুর শাসন সম্পর্কে তার মতামত প্রকাশ করেছেন। আসলে, ইয়াসমিনা টমি ম্যাকডোনাল্ডের ‘আই হেট পর্ণ পডকাস্ট’- শোতে এই সমস্ত কথা শেয়ার করেছেন। এই সাক্ষাৎকারে ইয়াসমিনা আলী জানান, তার বর্তমান জীবন ও শৈশবের মধ্যে আকাশ-পাতাল পার্থক্য রয়েছে।

তিনি বলেন, “১৯৯০ সালে, তালেবানরা তাদের দেশে (আফগানিস্তানে) শক্তি অর্জন করে ক্ষমতায় আসে। আমি জানতাম যে একজন মহিলা সবসময় তাদের (তালেবানীদের) চোখে কাঁটা হয়ে থাকবে। যে পরিবেশে আমি জন্মেছি, তা ছিল খুবই হতাশাজনক ও নৃশংস।” ইয়াসমিনা এই সাক্ষাৎকারে আরো দাবি করেছেন যে তিনিই আফগানিস্তানের একমাত্র পর্ণ তারকা।

ইয়াসমিনা বলেন, প্রথমে তাকে পড়াশোনা করতে বাঁধা দেওয়া হয়েছিল। আমি স্পষ্ট বুঝতে পারছিলাম যে আফগানিস্তানে নারী ও পুরুষের মধ্যে স্পষ্ট পার্থক্য তৈরী হচ্ছে।” এই পডকাস্টে তিনি আরো বলেন, “সেই সময় একজন পুরুষ ছাড়া আপনি বাড়ির বাইরে যেতে পারবেন না। সবসময় পর্দায় থাকার রীতি ছিল।”

ক্রমশঃ পরিস্থিতি এমন জটিল আকার ধারণ করে যে ইয়াসমিনা ৯ বছর বয়সে আফগানিস্তান ত্যাগ করতে বাধ্য হন। এরপর তিনি ব্রিটেনে আসেন। এখানে এসে পড়াশুনা করেন। এখানেই তাকে সেক্স এডুকেশন সম্পর্কে শেখানো হয়। ইয়াসমিনা ইংল্যান্ডে এসে খুব দ্রুত এখানকার লাইফস্টাইলে অভ্যস্ত হয়ে পড়েন। পডকাস্টে তিনি বলেছিলেন যে তিনি এখানে সম্মান পেয়েছেন।

ইয়াসমিনা জানান ” আমি এখানে স্কার্ফ পরতাম, লোকেরা আমার দিকে অবাক হয়ে তাকাত কিন্তু কেউ আমাকে আক্রমণ করেনি। কেউ কেউ আমাকে তালিবান মনে করত। স্কুলে আমিই একমাত্র মেয়ে ছিলাম যে মাথায় স্কার্ফ পরত। তবে, পরে ইয়াসমিনা যখন প্রাপ্তবয়স্ক ছবিতে নামেন, তখন তিনি পর্ন ছবিতেও মাথায় স্কার্ফ পরেন।

Related posts

যৌনমিলনের সময় ভুলেও এই কাজগুলো করবেন না, সঙ্গীর উত্তেজনা পলকে চলে যাবে

News Desk

দুবারের বেশি ভাজা তেল ব্যাবহার বন্ধ, চলবে তেলেভাজার দোকান আর হোটেলে নজরদারি

News Desk