স্ত্রী ও ছেলেকে ৮ তলা থেকে ৫৪ বছরের এক ব্যক্তিকে খুন (Murder) করে ছুঁড়ে ফেলার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হল। প্রথমে ওই ব্যক্তির মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে চালাতে চেয়েছিলেন তারা কিন্তু পরে পুলিশ তদন্ত করে বুঝতে পারে এটা খুন। তাদেরকে সেজন্যই গ্রেফতার করা হয়েছে।
শান্তনুকৃষ্ণ শেসাদ্রি নামের ওই ব্যক্তি মুম্বইয়ের (Mumbai) আম্বোলি অঞ্চলে সপরিবারে ওই বাড়িতে থাকতেন। তিনি একটি সংস্থার উচ্চপদস্থ আধিকারিক হিসেবে যুক্ত ছিলেন। ৫২ বছরের জয়শীলা ও ২৬ বছরের অরবিন্দ প্রাথমিক ভাবে পুলিশকে জানিয়েছিলেন, এটা আত্মহত্যাই। তাঁদের নিজেদের বক্তব্যের সমর্থনে যুক্তি ছিল, এর আগেও শান্তনু নিজেকে শেষ করে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন।
কিন্তু সময় যত যায়, ততই বিষয়টিতে গণ্ডগোল রয়েছে পরিষ্কার হয়ে যায়। সেইমতো পরিষ্কার হয়ে যায় আসল বিষয়টি জিজ্ঞাসাবাদ করতেই। মৃত ব্যক্তির পুত্র অরবিন্দ ইতিমধ্যেই নিজের অপরাধ কবুল করেছেন।
কিন্তু ওই ব্যক্তিকে কেন এভাবে খুন হতে হল? তদন্তকারী অফিসার জানাচ্ছেন, দুই অভিযুক্তের দাবি, ওই ব্যক্তির অত্যাচারে তাঁরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন। কোনও খেয়ালই তাঁদের রাখতেন না শান্তনু। প্রবল বাকবিতণ্ডা হয়েছিল ঘটনার দিন সন্ধেতেও। এরপরই ঘুমন্ত অবস্থায় ভোর ৪টে নাগাদ ওই ব্যক্তির মাথায় আঘাত করে তাঁকে মেরে ফেলা হয়। বাম হাতের শিরা কেটে দেওয়া হয়। ‘আত্মহত্যার নাটক’ সাজানোর জন্যই। তারপর ৮ তলা থেকে দেহটি ছুঁড়ে ফেলা হয়।
পুলিশ ওই ফ্ল্যাটে রক্তমাখা জামাকাপড় ও আরও প্রমাণ পেয়েছে যা থেকে বোঝা যায় অভিযুক্তরা প্রমাণ নষ্টের চেষ্টা করছিল তল্লাশি চালিয়ে। পুলিশ ওই ব্যক্তির অফিসে খোঁজ নিয়ে জানতে পারে তাঁর আচরণে বিষণ্ণতার কোনও চিহ্ন ছিল না মৃত্যুর আগের দিন। এরপরই সন্দেহ দানা বাঁধতে থাকে তাঁদের। শেষ পর্যন্ত অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হয়। একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে।