অপমানের প্রতিশোধ নিতে নিজের সৎ মা কে খুন করলো মেয়ে। ঘটনায় চাঞ্চল্য এলাকায়। কয়েকদিন দিন আগে ইটা থানার জসরথপুর এলাকার ভানুঘাট গ্রামের কাছে এক মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। জানা গেছে খুন করার পর ওই মহিলার লাশ সেখানে ফেলে আসা হয়। বৃহস্পতিবার পুলিশ এই বিষয়ে জানায়। খুনের অভিযোগে ওই মহিলার সৎ মেয়ের স্বামী ও প্রেমিকসহ তিনজনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে।
সিনিয়র পুলিশ সুপার উদয় শঙ্কর সিং বলেছেন যে গত ২৬শে জানুয়ারি ভানুঘাটের কাছে এক মহিলার মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছিল। যার পরিচয় খোঁজ করলে জানা যায় তাঁর নাম সগিরা দেবী। বয়স প্রায় ৪৫। সত্যভান ওরফে টিঙ্কেল, সালেমপুর তেওরি থানার বাসিন্দা নবাবগঞ্জ (ফরুখাবাদ) তার মা (৪৫)। পুলিশ এই মামলার তদন্ত শুরু করলে আস্তে আস্তে অনেক রহস্যের পর্দা ফাঁস হতে থাকে।
পুলিশ ফারুখাবাদের মেরাপুর থানার অন্তর্গত দ্বিউরা মাসোনা গ্রামের বাসিন্দা ব্রজেশ, তার স্ত্রী শর্মিলি এবং আমরউলি রতনপুরের বাসিন্দা সঞ্জুকে খুনের মামলায় গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশ জানায়, এই তিনজনই সগিরা দেবীকে হত্যা করেছে। শর্মিলী নিহতের সৎ মেয়ে। আসামিদের জেরা করে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে।
এসএসপি বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্তরা জানায়, শর্মিলির মায়ের মৃত্যুর পর তার বাবা সগিরা দেবীকে বিয়ে করেছিলেন। যেখানে শর্মি বিয়ে করেন নিহাল সিংকে। নিহালের মৃত্যুর পর শর্মি তার ছোট ভাই জয় সিংকে বিয়ে করেন। জয় সিং মদ খেয়ে তাকে মারধর করত। তাই সে তার বাপের বাড়ি চলে আসে। কিন্তু বাপের বাড়ী এলে সৎ মা সগিরা দেবী তাকে অপমান করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এরপর শর্মিলী ফারুখাবাদের মেরাপুর থানার থেত্রার বাসিন্দা ব্রিজেশকে বিয়ে করেন। পাশপাশি আমরোলি রতনপুরের বাসিন্দা সঞ্জু এরপর ব্রিজেশের বাড়ীতে যাতায়াত শুরু করেন। যার সঙ্গে শর্মিলির গোপন প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ২৫ জানুয়ারি ব্রিজেশ ও তাঁর স্ত্রী সগিরা দেবীকে একটি স্থানীয় মেলা দেখাতে নিয়ে যায়।
তাঁরা সন্ধ্যা ৭.৩০ টায় ভানাঘাটে পৌঁছায় যেখানে সঞ্জু অপেক্ষা করছিল। এ সময় তিনজনই একত্রে সগীরা দেবী কে আক্রমণ করেন। হেলমেট ও লোহার অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে তাকে হত্যা করা হয়। সরিষা ক্ষেতে লাশ লুকিয়ে ফেল হয়েছিল। অস্ত্র ও হেলমেট ঝোপে ফেলে দেওয়া হয়। খুন করে গা ঢাকা দেন তাঁরা। কিন্তু তদন্তে পুলিশের হাতে তিনজনই ধরা পড়েন। তিনজনকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ।