বুঝতে পারবেন না মানুষ নাকি পুরুষ ? একটি গ্রাম্য কুটীরে আট সন্তানের মাকে লোহার শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে! বাড়ির পোষ্য কুকুরের যেভাবে বাঁধা থাকে, ওই মহিলাকে পুরোপুরি সেভাবেই বাধা! চীনের জনগণের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে। সূত্রের দাবি,বর্তমানে পূর্ব জিয়াংসু প্রদেশে ওই বন্দি মহিলা থাকেন।
সম্প্রতি তাঁর সঙ্গে দেখা করতে এক ভিডিয়ো কনটেন্ট ক্রিয়েটার সেখানে যান। ওই যুবকই সেই মহিলার শিকল পরিহিত অবস্থায় ছবি তোলেন। পরে সোশাল মিডিয়ায় সেই ছবি ও ভিডিয়োই ভাইরাল হয়। ওই যুবক মহিলার ছবি তোলার পাশাপাশি তাঁর জন্য গরম পোশাকের ব্যবস্থা করেন। নিগৃহীতার সঙ্গে তিনি কথা বলারও চেষ্টা করেন। কিন্তু, মহিলাকে একের পর এক প্রশ্ন করা হলেও অসংলগ্ন ছিল তাঁর উত্তর। বস্তুত, তিনি ঠিক মতো কথাই বলতে পারছিলেন না।
চিনের নেট নাগরিকরা অত্যাচারের এমন ছবি প্রকাশ্যে আসতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন। তাঁদের দাবি, এই বিষয়ে অবিলম্বে প্রশাসন হস্তক্ষেপ করুক। তাঁর ভরণপোষণের দায়িত্ব নিক সরকার মহিলাকে উদ্ধার করে। নাগরিকদের একাংশের অভিযোগ, আজও উপেক্ষিত নারীর অধিকার চিনের গ্রামীণ এলাকাগুলিতে। পরিবারে যোগ্য সম্মান পান না মহিলারা বহু ক্ষেত্রেই। এমনকী, কোন পরিস্থিতির মধ্যে আট সন্তানের জন্ম দিতে বাধ্য হতে পারেন নিগৃহীতা, তা নিয়েও নানা আলোচনা শুরু হয়েছে। পরিস্থিতির জন্য কাঠগড়ায় তুলছেন কেউ কেউ চিন সরকারের কঠোর পরিবার নিয়ন্ত্রণ নীতিকেও।
অবশ্য ইতিমধ্যেই মানবাপাচার ও অপহরণের তত্ত্ব খারিজ করা দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে। তাদের ওই মহিলার পদবী ইয়াং দাবি। আদতে তিনি ফেং কাউন্টির হুয়ানকৌয়ের বাসিন্দা ছিলেন। তাঁর বিয়ে ১৯৯৮ সালে হয়। আর মানসিক সমস্যা শুরু হয় তাঁর তারপর থেকেই। পরিবারের দাবি, ইয়াং মাঝেমধ্যেই হিংস্র হয়ে ওঠেন। তবে এর জন্য কি কারও গলায় এভাবে চেন বেঁধে রাখা যায়? ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা সেই প্রশ্নই তুলছেন। প্রশাসনের জবাব তাঁদের ক্ষোভ আরও বাড়িয়েছে।