বলিউডের নামজাদা পরিবারের মধ্যে অন্যতম কাপুর খানদান! তাঁদের আভিজাত্য, তাঁদের ব্যক্তিত্ব, তাঁদের এলিগ্যান্স-স্টাইল স্টেটমেন্ট-ই আলাদা! কাপুর পরিবারের তরুণ তুর্কি ওরফে রণবীর কাপুর, করিশ্মা কাপুর, করিনা কাপুরকে নিয়েও ফ্যানেদের কৌতূহলের কমতি নেই! তাঁদের ব্যক্তিগত জীবনের নানা কিসস্যা শুনতে মুখিয়ে রয়েছেন ভক্তেরা! এবার সামনে এল কাপুর কন্যা করিশ্মার (Karisma Kapoor) জীবনের এক অন্ধকার দিক!
করিশ্মার (Karisma Kapoor) দাম্পত্য জীবন সুখের হয়নি! ১৩ বছরের বিবাহিত জীবনে ইতি টানেন ‘দিল তো পাগল হ্যায়’ নায়িকা! কিন্তু কেন ১৩ বছরের দাম্পত্যের পর বিচ্ছেদের পথ বেছে নিয়েছিলেন তিনি (Karisma Kapoor Divorce)? করিশ্মা নিজেই মুখ খুললেন, জানালেন কীভাবে স্বামী সঞ্জয় কাপুর আর শাশুড়ি তাঁকে দিনের পর দিন শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করে গিয়েছেন!
একটি সাক্ষাৎকারে করিশ্মা জানান, বিয়ের পর নিমেষে অশান্তির কালো ছায়া নেমে আসে তাঁর জীবনে! রাতারাতি হাসি-উজ্জ্বল-প্রাণবন্ত জীবনটা কেমন জানি নির্জীব হয়ে ওঠে! শুরু হয় নিত্যদিনের অশান্তি-ঝামেলা! বিয়ের পরদিন থেকেই স্বামী সঞ্জয় কাপুর এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁর ওপর মানসিক অত্যাচার আরম্ভ করেন। এখানেই শেষ নয়, প্রতিটা নারীর কাছে সুন্দর মধুচন্দ্রিমা স্বপ্নের বিষয়! সেই হানিমুনের রাতেই তাঁকে নিলামে চড়ান স্বামী, করিশ্মার মূল্য নির্ধারণ পর্যন্ত করেন, জোর করেন তাঁর বন্ধুর শয্যা সঙ্গিনী হওয়ার। করিশ্মা এই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সঞ্জয় তাঁকে মারধর পর্যন্ত করেছিলেন।
করিশ্মা এও জানান, তাঁদের বিয়ের পরও প্রাক্তন স্ত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে ছিলেন সঞ্জয়। এই সম্পর্কের বিরুদ্ধে বলতে গেলে করিশ্মাকে নানাভাবে অত্যাচার করতেন সঞ্জয়। শেষপর্যন্ত আর সহ্য করতে পারেননি! ২০১২ সালে দুই সন্তানকে নিয়ে আলাদা থাকতে শুরু করেন করিশ্মা। কিছুদিন বাদে ডিভোর্স ফাইল করেন। সঞ্জয় আর তাঁর মৃত দাম্পত্যের কাঁদা যাতে কোনওভাবে তাঁর সন্তানদের জীবন কলূসিত করতে না পারে, সেই কারণেই বিচ্ছেদের পথে এগিয়েছিলেন করিশ্মা। ডিভোর্সের পর সন্তানদের নিয়ে মুম্বই চলে আসেন। মুম্বইয়ের আর এক সংবাদমাধ্যমকে করিশ্মার স্বামী প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে রণধীর কাপুর বলেছিলেন, ‘‘সঞ্জয় একেবারেই নিম্ন শ্রেণির মানুষ।”