দেশে-বিদেশে কত না ধরনের দাম্পত্য কাহিনী শুনতে পাওয়া যায়। বেশিরভাগ দাম্পত্য জীবনে টুকটাক কলহ লেগেই থাকে। আর তাই নিয়ে মজার শেষ নেয়। তার উপরে সম্পর্কে তৃতীয় ব্যক্তির আগমন বা বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক হলে তো কথাই নেই। রীতিমতো অশান্তি লেগে যায় তখনই। কিন্তু চলতি দুনিয়ার এই সমস্ত চলে আসা ধ্যান ধারনা কে মিথ্যা প্রমান করে দিয়েছেন থাইল্যান্ডের এই যুবক। পেশায় ট্যাটু শিল্পী ওং ড্যাম সোরোট (Ong Dam Sorot) নামক এই যুবক একটি বা দুটি স্ত্রী নয়। এক্কেবারে আট আটজন স্ত্রীকে নিয়ে জমিয়ে সংসার করছেন। এবং শুধু তাই নয়, তার সংসারে নেই কোনো ঝামেলা অশান্তি এমনটাই দাবি তার।
যেখানে এক স্বামী-স্ত্রীর সংসারে নাকানি চোবানি খাওয়ার মতন অবস্থা সেখানে থাইল্যান্ডের যুবক সোরোটের আট স্ত্রী নিয়ে সংসারের ঘটনা বেশ চর্চিত নেট দুনিয়ায়। সকলে আট স্ত্রী নিয়ে একই ছাদের তলায় বাসের গল্প শুনে একটাই কথা জিজ্ঞেস করতে চায় ওং ড্যাম সোরোট কে যে সে কি তার আট স্ত্রী কে একই সাথে বিয়ে করেছেন কিনা?
এই আট বিয়ের গল্প হার মানাবে কোন উপন্যাসের কাহিনী কে। যুবকের বক্তব্য অনুযায়ী, এক বন্ধুর বিয়েতে গিয়ে পরিচয় হয় প্রথম স্ত্রী নাং স্প্রাইটের সঙ্গে। প্রথম বার পরিচয়েই প্রেমে পড়ে যান তিনি। তারপরে দুজনে বিয়ে করেন। একদিন বাজার করতে বেরিয়ে আলাপ হয় দ্বিতীয় স্ত্রী নাং এলের সাথে। একে অপরকে পছন্দ হয়। এবং বিয়ে। হাসপাতালে পরিচয় হয় তৃতীয় স্ত্রী নাং নেনের সাথে। তারপর চতুর্থ স্ত্রীর সঙ্গে আলাপ হয়েছিল ফেসবুকে। পরিচয় থেকে ঘনিষ্ঠতা অতঃপর বিয়ে। পঞ্চম এবং ষষ্ঠ স্ত্রীর সঙ্গে ওই যুবকের আলাপ হয়েছিল যথাক্রমে ইনস্টাগ্রাম এবং টিকটকের মতো সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে। উভয় ক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে বন্ধুত্ব গড়ায় প্রেমে এবং বিয়ে হয়। সপ্তম স্ত্রী নাং ফিল্মের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল মায়ের সঙ্গে এক উপাসনালয়ে গিয়ে। এরপরে শেষ স্ত্রী অষ্টম স্ত্রীর সঙ্গে আলাপের ঘটনাটা সবথেকে রোমাঞ্চকর বোধহয়। সপ্তম স্ত্রী কে নিয়ে হানিমুনে গিয়ে সেইখানেই আলাপ হয় অষ্টম স্ত্রী নাং মেইয়ের সঙ্গে।
এই অব্দি শুনে বিশ্বাস করা শক্ত যদিও সোরোটের দাবি, আট স্ত্রীকে নিয়ে তিনি সুখে শান্তিতে সংসার করছেন। কোথাও কোনও অশান্তির আঁচ নেই। স্ত্রীরা তাকে ভালোবাসে স্ত্রীদের মধ্যেও কোনওরকম সমস্যা নেই। কিন্তু নেটিজেনদের প্রশ্ন একই যুবককে বিয়ে করার পিছনে কেন এত মাতোয়ারা সুন্দরী যুবতীরা? অন্য কোন অভিসন্ধি রয়েছে কিনা এর পিছনে এও প্রশ্ন অনেকের। অনেকেই বলছেন, যুবক কে ভালবেসে নয়, তার টাকার কারণেই আট যুবতীর এক স্বামীর সংসার মেনে নিয়েছে। যদিও সোরোট এই সব কথা উড়িয়ে দিয়েছেন।