বিবাহ বহির্ভূত প্রেম মাঝে মাঝে কত ভয়ানক পরিণতি ডেকে আনতে পারে সেটার প্রমাণ আবারো মিলল উত্তরাখণ্ডের পিথোরাগড়ের এই ঘটনায়।
সম্প্রতি সেখানকার এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। চার মাস আগে সেই যুবক লিপ্ত হয়েছিল এক ভয়ঙ্কর অপরাধে। ঘটনার ৪ মাস কেটে যাবার পরে পুলিশ অবশেষে রহস্য ফাঁস করেছে। বৌদির সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক, গর্ভপাত করানো, ভাইয়ের সাথে পবিত্র সম্পর্ককে কলঙ্কিত করা, গর্ভপাত না করানোয় নিজের বৌদিকে শোচনীয় ভাবে হত্যার অভিযোগে চার মাস পর দেওরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যার কথা স্বীকার করেছে।
উত্তরাখণ্ডের পিথোরাগড় পুলিশ জানিয়েছে, গাঙ্গোলিহাটের রাজস্থ এলাকার বুগলির ডুমরির বাসিন্দা শীলা দেবী গত বছর অর্থাৎ ২০২১ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর হঠাৎ নিখোঁজ হন। স্ত্রী নিখোঁজ হওয়ার পর তার স্বামী দিওয়ান সিং রাজস্ব পুলিশের কাছে নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ কয়েক মাস ধরে মহিলাটিকে খুঁজছিল, কিন্তু তার কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। এরপর এই মামলার তদন্তভার গাঙ্গোলিহাট পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় পুলিশের নিখোঁজ মহিলা শীলা দেবীর দেওর বাবলুর কথাবার্তা কিছুটা সন্দেহজনক লাগে। পুলিশ তাকে হেফাজতে নিয়ে চেপে ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে বেশিক্ষণ চুপ করে থাকতে না পেরে পুলিশের সামনে সব সত্য স্বীকার করে ফেলে। বাবলু জানান, তার বৌদির সঙ্গে তার অবৈধ সম্পর্ক ছিল। এ সময় তার বৌদি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। তিনি বৌদি কে গর্ভের শিশুটিকে নষ্ট করে দিতে বললে সে অস্বীকার করে এবং তাকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকে।
বাবলু এর জন্য প্রস্তুত ছিল না। তাই সে বৌদি শীলা দেবীকে পথ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল। পরিকল্পনা অনুযায়ী, ঘটনার দিন ২৯শে সেপ্টেম্বর বৌদি কে পিথোরাগড়ে ডেকে নিয়ে গ্রামে ফেরার পথে গুরনা মন্দিরের কাছে একটি গভীর খাদে ঠেলে ফেলে দেয় সে। অভিযুক্তের বয়ান অনুযায়ী ঘটনাস্থলে এসডিআরএফ-এর সাহায্যে তল্লাশি চালানো হলে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয় মহিলার একটি ওড়না। তার দেহাবশেষের খোঁজ চলছে।
খুনের অভিযোগে পুলিশ অভিযুক্ত দেওর কে গ্রেফতার করেছে। তার বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করে তাঁকে আদালতে পেশ করা হয়েছে।
