অবাক ঘটনা! একেই বোধহয় বলে ঘোর কলিকাল। বিয়ে এবং তারপরে বিবাহ বিচ্ছেদ পৃথিবীতে নতুন বা অস্বাভাবিক কিছু ঘটনা নয়। প্রায়শই অনেক স্বামী-স্ত্রী একে অপরের থেকে আলাদা হন এবং তারপর তারা নিজেদের জন্য অন্য জীবনসঙ্গী বেছে নেন। কখনও এই নতুন সম্পর্কগুলি বেশ আলাদা হয়, যেখানে প্রায়শই দুজনের মধ্যে বয়সের অনেকটা পার্থক্য থাকে। তবে বর্তমানে বিয়ের যে ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে, সেখানে বয়সের পার্থক্য নয় বরং চর্চিত হচ্ছে বিবাহিত নারী ও পুরুষের মধ্যের আগের সম্পর্ক। যা সকলকে অবাক করেছে।
নিজের স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে সৎ ছেলেকে বিয়ে করলেন মহিলা, শুধু তাই নয়! এই মা ও সৎ ছেলের প্রেমের পরিনতি হিসাবে জন্মেছে তাদের সন্তানও। শুনে অবিশ্বাস্য লাগলেও এমনটাই হয়েছে রাশিয়াতে। এই ঘটনা এখন বহুল চর্চিত নেট দুনিয়ায়। এই মহিলা রাশিয়ার ব্লগার মারিনা বলমাশেভা।
প্রথম থেকেই বলা যাক। রাশিয়ার নাগরিক বছর পঁয়ত্রিশের মারিনা পেশায় ব্লগার। তিনি পেশায় ফিজিক্যাল ট্রেনার ব্লগার। মানে শরীরচর্চা বিষয়ক লেখালিখি করেন। ১৫ বছর আগে তিনি বিয়ে করেছিলেন এক ব্যাক্তিকে যার নাম অ্যালেক্সি শ্যাভরিন। মারিনার স্বামী অ্যালেক্সি-র সেটি দ্বিতীয় বিয়ে ছিল। এর আগেও সে একটি বিয়ে করেছিল আর সেই প্রথম পক্ষের স্ত্রীর থেকে তাঁর একটি ছেলেও ছিল। সেই ছেলের নাম ভ্লাদিমির। বিয়ের পর সেই ছেলের সৎ মা হন মারিনা বলমাশেভা। বিয়ের পরে বেশ কয়েক বছর স্বামী আর সৎ ছেলের সাথে বেশ সংসার চলছিল মারিয়ার। কিন্তু ধীরে ধীরে স্বামীর জায়গায় নিজের স্বামীর আগের পক্ষের স্ত্রীর সন্তান অর্থাৎ নিজের সৎ ছেলের প্রেমেই পড়েন মারিনা। ভ্লাদিমির আর মারিনার প্রেম ধীরে ধীরে বেশ ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়ে।
এরপরে সেই প্রেম কে পরিণতি দিতে নিজের ১০ বছর বিয়েতে যবনিকা টেনে ডিভোর্স দেন স্বামী অ্যালেক্সিকে। তার স্বামী অভিযোগ এনেছে যে ছেলে ভ্লাদিমির ছুটিতে বাড়ি এলেই তাঁকে নানা ইশারা, ইঙ্গিত দিতেন স্ত্রী মারিনা। এই বিষয় নিয়ে তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকবার দাম্পত্য কলহের সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু স্ত্রী কিছুতেই কোনো কথায় কান দেননি। সৎ ছেলের সাথে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি। আর ঘনিষ্ঠতা বাড়তে বাড়তে একসময় প্রেগন্যান্ট হয়ে পড়েন। এরপরই স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে সৎ ছেলেকেই বিয়ে করে নেন মারিনা।
আপাতত সৎ ছেলের সঙ্গে চুটিয়ে সংসার করছেন ওই মহিলা। ১৪ বছরের বয়স পার্থক্যের স্বামী আর সদ্য জন্মানো মেয়েকে নিয়েই তার সংসার।