Dainik Sangbad – দৈনিক সংবাদ
Image default
ট্রেন্ডিং

ভালোবাসার জন্য দেশ ছেড়েছেন মরক্কোর মেয়ে, ভিন্নধর্মে বিয়ে নিয়ে পাত্রের মত ‘আমি ধর্ম বদলাবো না’!

গোয়ালিয়রের অবিনাশ দোহরার সঙ্গে মরক্কো নিবাসী মুসলিম ধর্মাবলম্বী মেয়ে ফাদওয়া লামালির বিয়ে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ সরগরম। প্রায় বছর তিনেক আগে তাদের পরিচয় সোশ্যাল মিডিয়াতে, জল এতো দূর গড়ায় যে শেষমেশ প্রেমে পড়েন দুজনেই। দুজনেই ভিন্ন ধর্মী হওয়ায় দুশ্চিন্তায় ছিলেন। এরমধ্যেই অবিনাশ বার দুয়েক মরক্ক গেছেন বিয়ের কথা বলতে। অবিনাশকে তার দেশ ও নিজের হিন্দু ধর্ম ছেড়ে মরক্কোতে বসতি স্থাপনের প্রস্তাব দেন ওই মেয়েটির বাবা, কিন্তু অবিনাশ কিছুতেই রাজি হননি। ফাদওয়ার বাবাকে বলেছিলেন অবিনাশ যে, ‘আমি আমার দেশ ছাড়ব না এবং আমি আমার ধর্ম পরিবর্তন করব না।’ তিনি আরও বলেছিলেন, ‘আমি আপনার মেয়েকেও ধর্মান্তরিত করব না।’

আবারও যেন সত্যি প্রমাণিত হল ‘ধর্ম, দেশ ও ভাষা কখনও ভালোবাসায় বাধা দিতে পারে না’ এই পুরনো কথাটি। দেশ ছেড়েছেন ফাদওয়া প্রেমের টানে। ধর্মান্তরিত করে নয়, বরং নিজ নিজ ধর্ম ও সংস্কৃতি মেনে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে থাকার শপথ নেন ওই প্রেমিক-প্রেমিকা উভয়েই। এর পরে এডিএম আদালতে নিয়ম মেনেই চারহাত এক হয় বুধবার। দু’জনেই হিন্দু রীতি অনুযায়ী বিয়েও করবেন বলে জানিয়েছেন ওই দম্পতি কিছু দিনের মধ্যে।

ধর্ম দেয়াল হয়ে ওঠেনি ফাদওয়া ও অবিনাশের প্রেমের গল্পে। ২৪ বছর বয়সী ফাদওয়া লামালি মরক্কোর একটি বেসরকারি কলেজে পড়াশোনা করেন। গোয়ালিয়রের ২৬ বছর বয়সী অবিনাশ দোহরার সঙ্গে তিন বছর আগে সোশ্যাল মিডিয়ায়, তাঁর পরিচয় হয়েছিল। ধর্ম নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েন দু’জনেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বন্ধুত্ব প্রেমে পরিণত হলে। নিজ নিজ পরিবারকে জানিয়েছেন নিজেদের সম্পর্কের কথা দুজনেই জানান। দু’বার বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে অবিনাশ মরক্কো গিয়েছিলেন, কিন্তু ফাদওয়ার বাবা আলি লামালি বিয়ে দিতে রাজি হননি। প্রথমে রেগে গেলেও পরে মেয়ের জেদের সামনে হ্যাঁ বলতে রাজি হন ফাদওয়া লামালির পরিবার। শেষ পর্যন্ত প্রেমই জয়ী হল ফাদওয়া ও অবিনাশের প্রেমের গল্পে।

Related posts

পাশ্চাত্য দেশের শোকের সময় কালো পোশাক পড়ার কারণ কি?

News Desk

বার বার বিয়ে করার নেশা রেল চালকের! দুই বিয়ের পর তৃতীয় বিয়ের প্রস্তুতি নিতে গিয়ে বিপাকে

News Desk

একের পর এক ক্রিকেটার করোনা আক্রান্ত, বন্ধ করা হল আইপিএল

News Desk