উত্তরপ্রদেশের আউরাইয়া জেলার থেকে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে এসেছে। মালা বদলের সময় এমন কিছু ঘটল যে, তার বরের উপর রেগে গিয়ে কনে বিয়ে করতে অস্বীকার করল। কনের এহেন সিদ্ধান্তের কারণে বরযাত্রীর পাশাপাশি কনের পক্ষের মধ্যেও তোলপাড় পরে যায়। সবাই রাগান্বিত বধূকে অনেক কিছু বোঝাতে শুরু করে। বিয়ে ঠিক করেছিল যে ঘটক সেও মেয়েটিকে বোঝানোর চেষ্টা করেছিল, কিন্তু কনে তার সিদ্ধান্ত থেকে নড়েনি। কনের রাগের কারণে বিয়েই ভেস্তে গেল। ভালো সম্বন্ধ পেয়ে বর ও কনের পক্ষের লোকজন খুব খুশি হলেও বরের কর্মকাণ্ড ও কনের সিদ্ধান্তের কারণে বিয়ের পরিবেশ বিষাদে পরিণত হয়।
তথ্য অনুযায়ী, অদ্ভুত এই ঘটনাটি আউরাইয়া জেলার বিধুনা কোতোয়ালির নবীন বস্তির। এ ঘটনা সামনে আসার পর মানুষ জনও বিস্মিত। তা নিয়ে সর্বত্র আলোচনা হচ্ছে। আসলে, মালাবদলের সময়, বর কোনও বিষয় নিয়ে কনের দিকে মালা ছুঁড়ে দেয়। বরের এহেন কাণ্ডে ক্ষুব্ধ হন কনে। এরপর বিয়ে করতে রাজি হননি কনে। কনে বিয়েতে অস্বীকৃতি হওয়ায় বিয়েবাড়িতে শুরু হয় ঝামেলা। এরপর কনেকে রাজি করানোর প্রচুর চেষ্টা হলেও কনে তার সিদ্ধান্তে অনড় থেকে যায়। আসলে, নববধূ তার ভবিষ্যত জীবনসঙ্গীর এই কর্মে খুব ক্ষুব্ধ। তাই তাকে বিয়ে প্রত্যাখ্যান করতে হয়েছে।
জানা গেছে কনে রোশনীর বিয়ে ঠিক হয়েছিল কনৌজ জেলার বাহবলপুরের বাসিন্দা আকাশের সঙ্গে। বরের পক্ষ থেকে যথাসময়ে বরযাত্রীর শোভাযাত্রা আনা হয়। এ সময় সব ধরনের আচার-অনুষ্ঠান করা হয় নিয়ম মেনে। বাড়ি ঘরও সাজানো হয়েছিল বিয়ের জন্য। বিয়ের মণ্ডপও সাজানো হয়েছিল। সানাইয়ের সুর বাতাসে ভাসছিল। বর-কনের লোকজন হিন্দু রীতি নীতি মেনে আচার-অনুষ্ঠান পালন করছিলেন। মালা বদলের জন্য মঞ্চ সম্পূর্ণ সাজানো হয়েছে। মানুষ বিয়ের ছবি তুলছিল। এসময় বর আকাশ কিছু একটা নিয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে মালা ও তার হাতে থাকা পাগড়ি ছুড়ে ফেলে। এতে বিস্মিত হন কনে পক্ষ। এই ঘটনার পর কনে খুব ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে এবং আকাশের এই কাজের পর বিয়ে করতে অস্বীকার করে। পাত্রীর অভিযোগ, বর এমন অদ্ভুত আচরণ করে কি করে? আমি বিয়ে করব না।
বরের পক্ষকে এই ঘটনা বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি খাবার খেতে গিয়েছিলেন বলে জানান। বর আকাশের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, তিনি খেতে গেলে সেখানে খেতে গিয়ে কিছু চেয়েছিলেন, যা দেওয়া হয়নি। এরপর বর আকাশ খাবার খেতে চায়নি আর। অবশ্য আকাশ জানান, সে মালা ফেলে দেয়নি। এই অভিযোগ ঠিক নয়।