অনেক ধরণের ডিজিটাল প্রতারণা প্রচুর পরিমানে বেড়ে গিয়েছে এই করোনা সংক্রমণের সময়। প্রায় প্রত্যহ পুলিশ এই ডিজিটাল বা অনলাইন প্রতারণার ব্যাপারে মানুষ কে সচেতন করে চলেছে তবুও যেন এই ফাঁদে পা ফেলে দিচ্ছেন মানুষ। পরিশ্রম না করেই যদি বাড়িতে বসে টাকা দ্বিগুন হয়ে যায় তাহলে ক্ষতি কি! এরকম চিন্তা ভাবনার কারণেই অনেক মানুষ এসব প্রতারকদের ফাঁদে পা দিয়ে সর্বস্বান্ত হয়ে যান। এবার ক্রিপ্টোকারেন্সির ফাঁদে পা দিয়ে পার্কসার্কেসের এক যুবক টাকা খোয়ালেন। ওই যুবক সবে মিলিয়ে মোট ২৩লক্ষ টাকা খুইয়েছেন। নিজের ভুল উপলব্ধি করার পরেই তিনি সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের লিঙ্ক আসে পার্ক সার্কাসের ওই যুবকের মোবাইলে। তিনি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে অ্যাড হয়ে যান লিঙ্কে ক্লিক করার পরে। সব মিলিয়ে ওই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে প্রায় আড়াইশো জন সদস্য ছিল। তারা ক্রিপ্টোকারেন্সির ট্রেডিং সকলেই করেন। টাকা আয়ের সুযোগ গ্রুপের অনেকের কাছ থেকেই শুনে হাতছাড়া করতে চাননি ওই যুবক। শেষমেষ ট্রেডিংয়ে অংশগ্রহণ করে বেশ কিছু টাকা বিনিয়োগ করেন ওই যুবক। প্রথমে ৬ হাজার টাকা বিনিয়োগ করেন ওই যুবক। কিছুদিনের মধ্যে সেই টাকা প্রায় অর্ধেক বেড়ে গিয়েছে দেখতে পান।
৩০ হাজার টাকা হয়ে যায় ৬ হাজার বিনিয়োগ থেকে। তিন দিনের মধ্যে । লক্ষ লক্ষ টাকা ক্রিপ্টোকারেন্সিতে (Cryptocurrency) বিনিয়োগ শুরু করেন পার্ক সার্কাসের (Park Circus) বাসিন্দা এক যুবক অল্প সময়ে এত বিপুল পরিমাণ রিটার্ন দেখে। শুধু তাই নয় নিজের যাবতীয় ফিক্সড ডিপোজিট ভেঙে টাকা বিনিয়োগ করেন। এরপর তিনি ২৩ লক্ষ টাকা ধাপে ধাপে বিনিয়োগ করে ফেলেন। তারপরে ক্রিপ্টোকারেন্সিতে টাকা পরিবর্তিত না হওয়ায় তিনি প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পারে ।
তিনি পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন সর্বস্ব খুইয়ে। পুলিশের কাছে অভিযোগ, এই ট্রেডিং করা হয় বিটকয়েনের মাধ্যমে। সেই কারণে গ্রুপে থাকা এক মার্কিন এজেন্টের সাহায্য নেন বিটকয়েনকে অন্য ক্রিপ্টোকারেন্সিতে পরিণত করার জন্য। পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, এই ধরনের প্রতারণা শহরে সম্প্রতি বেড়ে চলেছে। একটা চক্র এর পিছনে কাজ করছে। চেষ্টা চালানো হচ্ছে তাদের গ্রেফতারের জন্য।