আমাদের জীবনে প্রতিবেশীর গুরুত্ব অপরিসীম। যেমন একসাথে মিলেমিশে থাকতে বা একে অপরের বিপদে পাশে দাড়াতে প্রতিবেশীর বিকল্প হয় না। তেমনই প্রতিবেশীর সাথে মানিয়ে বুঝিয়ে থাকতে গেলেও কখনো কখনো বিস্তর ঝামেলা পোহাতে হয়। যেমন এই ব্যাক্তিরা। প্রতিবেশীর সাথে সামান্য বিষয় নিয়ে ঝামেলা গড়ালো একেবারে আদালত অবধি। শুধু তাই নয় গুনতে হয় মোটা অঙ্কের ক্ষতিপূরণও। এই সবের পেছনে আর কিছুই না রয়েছে একটি কমোডের ফ্ল্যাশের শব্ধ। এই সংবাদটি আপাতত সব জায়গায় চর্চা হচ্ছে। এবং ভাইরাল ও হয়েছে।
আসলে চার ভাই মিলে বেশ সুন্দর একটা ফ্ল্যাট বানিয়েছিলেন ৷ অ্যাপার্টমেন্ট টি সাজিয়েছিলেন বেশ যত্ন সহকারে। কিন্তু তাদের একটা ভুল থেকে যায় বাথরুম এর নির্মাণশৈলী তে। যার কারণে বাথরুমের শব্দ চলে যেত পাশের ফ্ল্যাটে। সেই নিয়েই শুরু প্রতিবেশীদের সাথে ঝামেলা। যে ঝামেলার নিষ্পত্তি হয় আদালতে। যে দম্পতি পাশের ফ্ল্যাটে থাকতেন, তাঁদের অভিযোগ ছিল, রাতে ঘুমোতে গেলে সেই বাথরুম থেকে ভেসে আসা কমোডের ফ্লাশের ভয়ঙ্কর আওয়াজে হত যার কারণে সারা রাত তারা দুচোখের পাতা এক করতে পারতেন না (Couple whose sleep hampered due to neighbour’s comode flush)৷
প্রতিদিন রাতেই ঘুমের সময় একই ধরনের সমস্যায় পড়তেন তারা। পাশের ফ্ল্যাটের কমোডের ফ্লাশের এত বেশি আওয়াজ হত যে একেবারেই ঘুম হত না ৷ প্রতি দিন রাতে এমনটা হতে থাকায় অবশেষে আদালতের কাছে নিজেদের সমস্যা নিয়ে পৌঁছন ওই দম্পতি। কমোডের ফ্লাশের আওয়াজে তাঁদের ঘুমে সমস্যা হচ্ছে। এর জন্য ক্ষতিপূরণের দাবি করেন ওই দম্পতি ৷
পরে আদালতের তরফে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। ফ্ল্যাটে পৌঁছে দেখা যায়, দম্পতির অভিযোগই সঠিক। আদালতে মামলা হেরেই যান পাশের ফ্ল্যাটের চার ভাই ৷ আদালত দম্পতির অভিযোগ মেনে রায় দেন ৷ জানা গেছে ২০০৩ সালে ফ্ল্যাটটি কেনার পর ১৯ বছর ধরে রাতের সমস্যা নিয়ে চলেছে দম্পতি৷ অবশেষে আদালতে কেস জিতলেন তাঁরাই ৷ ক্ষতিপূরণ হিসেবে পেলেন টাকা যা ভারতীয় টাকায় প্রায় ৮ লক্ষ টাকার সমান ৷