মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন পারিবারিক অশান্তির কারণে। আর এরকম ভয়ঙ্কর সিদ্ধান্ত এই কারণেই। গঙ্গায় চলন্ত লঞ্চ থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন যুবক। এই ঘটনার পর তার এখনও কোনও খোঁজ মেলেনি।
সূত্রের খবর, সঞ্জয় চৌহান (৪৫) মৃতের নাম। চলন্ত লঞ্চ থেকে গঙ্গায় ঝাঁপ দেন সোমবার বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ ওই যুবক। সঞ্জয় ও তাঁর পরিবার ওঠে বেলুড় থেকে দক্ষিণেশ্বর গামী একটি লঞ্চে। এবার যখন মাঝ গঙ্গায় লঞ্চ পৌঁছায় তখনই হঠাৎ গঙ্গায় ঝাঁপিয়ে পড়েন সঞ্জয়।
তৎক্ষনাত লঞ্চের ভিতর হট্টগোল শুরু হয়। প্রত্যক্ষদর্শীদের কথায় সঞ্জয়কে বাঁচাতে লঞ্চটিকে ঘুরিয়ে অনেকবার তল্লাশি চালানো হলেও আর দেখা যায়নি তাকে। এর পরেই আবার বেলুড় জেটিতে যাত্রীসমেত লঞ্চ ফিরিয়ে নিয়ে আসেন চালক। ঘটনার খবর পেয়ে নিখোঁজ সঞ্জয়ের স্ত্রী বেলুড় জেটিতে আসেন। যদিও ওই যুবকের এখনো খোঁজ মেলেনি। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, রিভার্স ট্রাফিককে বালি থানার পক্ষ থেকে খবর দেওয়া হলে তারা গঙ্গায় তল্লাশি চালাচ্ছে ।
বেলুড় জেটির এক আধিকারিক এই ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, “দক্ষিণেশ্বরমুখী লঞ্চ থেকে সকাল সাড়ে এগারোটার ঝাঁপ মারে ওই যুবক। লঞ্চে ওনার ছেলে মেয়ে উনি আর ভাইরাভাই ওঠেন। লঞ্চের অন্য যারা আধিকারিক ছিল তারা চেষ্টা করেছে ঝাঁপিয়ে পড়ার পরই সঙ্গে-সঙ্গে ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করতে। কিন্তু আর তারপর থেকে ওই যুবককে দেখতে পাওয়া যায়নি। একই রকম ঘটনা এর আগেও ঘটেছে। তখন এইভাবে প্রাণ রক্ষা করেছেন লঞ্চের অনেক আধিকারিক। তবে আর ওই ব্যক্তিকে যেহেতু ঝাঁপ দেওয়ার পর দেখতে পাওয়া যায়নি সেই কারণে লঞ্চটিকে ঘুরিয়ে আবার বেলুর জেটিঘাটে নিয়ে আসা হয়। পরে আবার লঞ্চ যথারীতি চালু হয়। ওই যুবকের স্ত্রী থাকেন কোনা হাইরোডের উপর। তাকে গোটা ঘটনা জানানো হয়েছে। খবর দেওয়া হয়েছে পুলিশকেও। ”
এদিকে ওই ব্যক্তির স্ত্রী বলেন, “ ভাড়া বাড়িতে থাকি আমরা। আমি পরিচারিকার কাজ করে আসছি আঠারো বছর ধরে। বাড়িওয়ালা ঘর খালি করে দেওয়ার কথা বলছিল কয়েকদিন ধরেই। আমি বলেছি আমরা কোথায় যাব ছেলে-মেয়েকে নিয়ে। গন্ডগোল চলছিল এই নিয়েই। কিন্তু এমন কেন করলেন জানি না।”