নতুন চাকরি পেলে প্রত্যেকের জীবন পাল্টায়। এই মানুষটিরও পাল্টেছে। কিন্তু এই ভাবে জীবন পাল্টে যাওয়া তাঁর কাছে দুঃস্বপ্নের মতন বলা যায়। একজন অস্ট্রেলিয়ান ব্যাক্তির জীবন প্রায় তছনছ হয়ে যায় যখন নতুন চাকরি পাওয়ার মাত্র দু ঘন্টার মধ্যেই তার চাকরি চলে যায়। কারণ অদ্ভুত। নিয়োগকর্তার সেই ব্যাক্তি কাজে যোগ দেওয়ার পর মনে হয়েছে ব্যক্তির ওজন বেশি আর সে কাজটা ঠিক করে করতে পারবে না। অবশ্য তার নতুন বস তাকে নিয়োগের আগে তাকে দেখেছিল। তাও চাকরিতে যোগ দেবার মাত্র দু ঘন্টার মধ্যে তাকে অপমানজনকভাবে বহিষ্কার করা হয়।
জানা গেছে সেই ব্যাক্তির নাম হামিশ গ্রিফিনকে (Hamish Griffin)। তিনি এই নতুন চাকরিতে যোগ দেওয়ার জন্য প্রায় 3,000 কিলোমিটার ট্রাভেল করে এসেছিল তার পরিবার নিয়ে। অস্ট্রেলিয়ার কুইনল্যান্ড থেকে অন্য দিকের তাসমেনিয়াতে চলে আসেন পরিবার নিয়ে। নতুন শহরে এসে স্ত্রী পুত্রকে নিয়ে পাকাপাকিভাবে বসবাসের জন্য নিজের বিষয় সম্পত্তি যা ছিল তার অনেক কিছুই বিক্রি করতে হয়েছে। চাকরি পেয়ে আবার স্বপ্ন দেখছিলেনই তিনি যখন দুঃস্বপ্নের মত চাকরি শুধু ওজনের কারণে চলে যায়।
আসলে একটি পার্ক দেখাশুনার দায়িত্ব পেয়েছিলেন হামিশ। মিঃ গ্রিফিন দাবি করেছিলেন যে তিনি মাত্র দুই ঘন্টার জন্য কাজে বহাল ছিলেন যখন তার নিয়োগকর্তা, পার্কের মালিক তাকে একটি সোফা সরাতে সাহায্য করতে বলেছিলেন। এরপরই ‘শারীরিকভাবে’ সক্ষম নন বলে তাকে বরখাস্ত করে দেওয়া হয়। কাজে যোগ দেওয়ার প্রথম দিনই বিগফোর স্ট্রাহান হলিডে রিট্রিট নামের ওই পার্ক কর্তৃপক্ষ হামিশকে বলে দেয়, আপনি এখন চলে যেতে পারেন। আপনাকে দিয়ে এই কাজ হবে না। স্বাভাবিকভাবেই আকাশ ভেঙে পড়ে মিঃ গ্রিফিনের মাথায়। এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি পোস্ট করেন ওই ব্যাক্তি।
পার্ক কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, হামিশের অতিরিক্ত ওজন বা ওবিসিটি (Obesity) রয়েছে। পার্কের কাজে শারীরিক পরিশ্রম রয়েছে। সেটা গ্রিফিন করে উঠতে পারবে না। সেই কারণেই তাকে কাজ থেকে ছাঁটাই করা হয়েছে। কাজ করতে গিয়ে নিজেকে জখম করে ফেলবে।
কিন্তু হামিশের বক্তব্য, চাকরিতে বহাল হওয়ার আগে তাঁকে দেখেছিল কর্তারা। হামিশের রেগে গিয়ে প্রশ্ন, তখনই তাঁকে বারণ করে দেওয়া হল না কেন? এছাড়া এর আগেও কুইনসল্যান্ডের একটি পার্কেও ম্যানেজারের দায়িত্ত্ব সামলেছেন গ্রিফিন। সেখানে নিজের দায়িত্ত্ব সামলে একটানা আট বছর কাজ করেন। এই ভাবে স্থানাতরিত হওয়ার পরে চাকরি যাওয়ায় পরিবারকে নিয়ে তিনি পথে বসেছেন। সেকথাও ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছেন হামিশ গ্রিফিন। ইতিমধ্যে আইনের সাহায্যও নিয়েছেন হামিশ।