করোনার এই নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন সারা বিশ্বে ত্রাস ছড়িয়েছে। এই প্রবল সংক্রামক ভাইরাসের জ্বালায় ভুগছে সারা ভারত। দ্রুত হারে ছড়িয়ে পড়া এই করোনার এই ভ্যারিয়েন্টের নেতৃত্বাধীন কোভিড স্রোতে ইতিমধ্যেই ফের একবার ২ লাখের গণ্ডি ছাড়িয়ে গিয়েছে ভারত দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যায়। ইতিমধ্যেই এই ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে দেশের বিভিন্ন স্তরে গবেষণাও শুরু হয়ে গিয়েছে। এই গবেষনাতেই এক আবিষ্কার সামনে এলো।
নয়া সাব-স্ট্রেন আবিষ্কার হল করোনাভাইরাসের স্ট্রেন ওমিক্রনের। গত ডিসেম্বরের এই নয়া সাব-স্ট্রেনের খোঁজ পান বিজ্ঞানীরা। আর আতঙ্ক ছড়িয়েছে এই নয়া সাব-স্ট্রেনের খোঁজ মিলতেই যে ওমিক্রনের প্রাথমিক সাব-স্ট্রেনের থেকেও বেশি সংক্রামক প্রজাতি বিশ্ব জুড়ে ছড়িয়ে পড়তে পারে। ব্রিটিশ স্বাস্থ্য আধিকারিকরা আপাতত জানিয়েছেন যে নয়া বিএ.২ ভ্যারিয়েন্টটি নিয়ে ‘তদন্ত’ (গবেষণা) চলছে।
গত এক মাসেরও কম সময়ে বিএ.২ ভ্যারিয়েন্টে মোট ৫৩টি কেস সামনে এসেছে ব্রিটেনে বলে জানা গিয়েছে। ওমিক্রনের মোট তিনটি সাব-স্ট্রেন রয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে। এখনও পর্যন্ত যত ওমিক্রন কেসের সিকোয়েন্সিং হয়েছে গোটা বিশ্বে, তার মধ্যে থেকে দেখা গিয়েছে যে ৯৯ শতাংশই বিএ.১ সাব-স্ট্রেন। আরও বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যে বি.১.১.৫২৯ সম্পর্কে আরও গবেষণা চলছে। এখনও জেনে উঠতে পারেননি বিজ্ঞানীরা এই সংক্রান্ত সমস্ত কিছু।
এদিকে বি.২ সাব-স্ট্রেনটি ডেনমার্ক, নরওয়ে এবং সুইডেনে মিলেছে ব্রিটেন ছাড়াও। বিএ.২ সাব-ভ্যারিয়েন্টের দ্রুত বিস্তার সম্পর্কে সতর্ক করেছেন ফ্রান্স এবং ভারতের বিজ্ঞানীরাও। দ্রুতই এই সাব-ভ্যারিয়েন্টটি অন্য সব সাব-ভ্যারিয়েন্টকে ছাপিয়ে যেতে পারে তাঁদের মতে।
ইতিমধ্যেই ওমিক্রনের বি.২ সাব-স্ট্রেনটি ডেনমার্কে ক্রমেই ছড়িয়ে পড়ছে। যেখানে ডেনমার্কের মোট ওমিক্রন আক্রান্তদের ২০ শতাংশ রোগী বি.২ আক্রান্ত ছিলেন গত ডিসেম্বরে। সেই শতাংশের হার ৪৫ হয়েছে গত কয়েক সপ্তাহে। ডেনমার্কে করোনা আক্রান্ত হয়েছে ৩০ হাজার। গত এক সপ্তাহে এত সংক্রমণ দেখা যায়নি ডেনমার্কে এর আগের করোনা ঢেউতে। ইউরোপের অন্যান্য দেশে এর জেরেই আতঙ্ক বাড়ছে নয়া এই সাব-স্ট্রেন নিয়ে।
