চলমান মহামারীকে সময় অনেক প্রতারক মানুষই ফেঁদে বসেছে নানা ব্যাবসা। কেউ ফেঁদে বসেছে নকল স্যানিটাইজার এর ব্যবসা তো কেউ ফেঁদে বসেছে ভুয়া ভ্যাকসিনের ফাঁদ। এর আগেও সামনে এসেছিল কোন বাস্তবিক তথ্য প্রমাণ ছাড়াই করোনার ওষুধ বিক্রির ঘটনা। এবার সামনে এলো মানুষের অন্ধ বিশ্বাসকে হাতিয়ার করে করোনাভাইরাস থেকে বাঁচার মাদুলি বিক্রি। আর এই ঘটনাই প্রশ্ন তুলেছে তাহলে কী করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে এবার মানুষ মাদুলিরই ভরসা করবে?
মাদুলি ধারণ করলে ছুঁতে পারবে না করোনাভাইরাস, এমন বিজ্ঞাপনী প্রচার কে হাতিয়ার করে মাদুলি বিক্রির ব্যবসা রমরমিয়ে চলছে হলদিয়ার গ্রামে গ্রামে। সংবাদ মাধ্যম নিউজ 18 বাংলা সামনে এনেছে এমনই একটি চাঞ্চল্যকর প্রতিবেদন।
‘গলায় মাদুলি ঝোলান, আর করোনা থেকে সেরে উঠুন।’ এটাই এই বিজ্ঞাপনের মূল স্লোগান। আর এই স্লোগান কে প্রকাশ্য সাইন বোর্ডে লিখে টাঙিয়েও দিয়েছেন হলদিয়ার সুতাহাটার ৭৭ বছর বয়সী সৈয়দ আবদুল কাদের নামক এক ব্যক্তি। তার দাবি অনুযায়ী কোনো ব্যাক্তি যদি নিজের বাড়ির ভেতরে একটা মাদুলি ঝুলিয়ে রাখার সঙ্গে সঙ্গে নিজের গলাতেও একটা মাদুলি ধারণ করে তাহলে তাঁকে আর ছুঁতে পারবে না করোনাভাইরাস।
মাদুলি বিক্রেতা আবদুল কাদেরের এমন আজব দাবিতে সাড়া দিয়ে মাদুলী কিনছেন গ্রামের মানুষজন। বহু লোক তার বাড়িতে এসে নাকি মাদুলি নিয়ে যাচ্ছেন টাকা দিয়ে কিনে, সংবাদ মাধ্যম নিউজ 18 বাংলাকে নিজ গৃহে বসেই তিনি সেই কথা জানিয়েছেন। মাদুলির দাম রাখা হয়েছে ১ হাজার টাকা থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। গরীব মানুষদের ডিসকাউন্ট দিয়ে কম দামেও মাদুলি বিক্রি করছেন তিনি, জানিয়েছেন এমনটা।
আবদুল কাদেরের বক্তব্য কেউ তার এই মাদুলির ওপর বিশ্বাস রাখুক আর না রাখুক, কিন্তু তাঁর দেওয়া এই মাদুলি করোনা ভাইরাসের মহামারী কে রুখতে এক অব্যর্থ মহৌষধী। তিনি আরো দাবি করছেন, এই মাদুলি নিয়ম মেনে গলায় পড়লে করোনা থেকে সেরে উঠবে সকলেই।
যদিও তারা এমন দাবিকে অন্ধবিশ্বাস বলে নস্যাৎ করে দিয়েছেন চিকিৎসক এবং বিজ্ঞানমনস্করা। যুক্তিবাদীদের কথায়, মাদুলির ব্যাবসা টি একেবারেই বুজরুকি! মানুষকে তারা আবেদন করেছেন এই সব বুজরুকি ফাঁদে পা না দিতে আর করোনা স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে।