মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানোর সময় ফুড ডেলিভারি সংস্থা জোমাটোয় কর্মরত এক ডেলিভারি বয়কে পিষে দিল এক পুলিশ কনস্টেবল। দিল্লির রোহিনীতে বুদ্ধ বিহার এলাকার ঘটনা। জানা গেছে এমন কাণ্ডজ্ঞানহীন কর্মে অভিযুক্ত কনস্টেবলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদিকে সলিল ত্রিপাঠি নামের জোমাটোয় কর্মরত সেই যুবক ছিলেন পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী সদস্য ছিলেন। ৮ই জানুয়ারি রাতে একটি মারুতি গাড়ি একটি ডিটিসি বাস এবং বাইক আরোহীকে ধাক্কা দেয়। সূত্রের খবর, শনিবার রাতে বাবা সাহেব আম্বেদকর হাসপাতালের কাছে দুর্ঘটনায় এক ফুড ডেলিভারি সংস্থার বাইক চালকের মৃত্যু হয়। পরে জানা যায় তিনি জোমাটোর ডেলিভারি বয় হিসাবে কাজ করতেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মারুতি গাড়িটির চালকের আসনে ছিলেন রোহিনী নর্থের পুলিশ কনস্টেবল মহেন্দ্র। তাল হারিয়ে প্রথমে তিনি একটি বাসে ও পরে জমাটো সংস্থার বাইক আরোহীকে তিনি সজোরে ধাক্কা দেন। এদিকে ঘটনার সময় ওই পুলিশ কনস্টেবল মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন বলে অভিযোগ। সামনে আসা একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা যায় তিনি টালমাটাল অবস্থায় রয়েছেন। দুর্ঘটনার পরে পুলিশ তার বিরুদ্ধে এফআইআর করে। তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদিকে এমন ভয়ানক দুর্ঘটনায় ওই পুলিশ কর্মীর দায়িত্বজ্ঞান নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
মৃত ডেলিভারি বয় সলিল ত্রিপাঠীই তার বাড়ির একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন। তার বাবাও করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলাকালীন মারা যান। দিল্লিতে করোনার ক্রমবর্ধমান কেস সামনে আসার কারণে এই সময়ে নাইট কারফিউ বলবৎ রয়েছে। সেই সঙ্গে সপ্তাহান্তে কারফিউও জারি করা হয়েছে। স্থানে স্থানে যানবাহন তল্লাশি করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতেও মানুষ মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানো থেকে বিরত হচ্ছে না। এদিকে দিল্লি পুলিশ নিজেই সময়ে সময়ে মদ্যপান এবং গাড়ি চালানোর বিরুদ্ধে প্রচার চালায়। সেই পুলিশে থেকেই একজন কিভাবে এমনটা করল। উঠছে প্রশ্ন।